কলকাতা লিগের প্রথম ম‍্যাচেই ধাক্কা খেল ইস্টবেঙ্গল এফসি

0
4

কলকাতা লিগের প্রথম ম‍্যাচেই ধাক্কা খেল ইস্টবেঙ্গল এফসি। অন্য দুই প্রধান বড় ব্যবধানে জিতে কলকাতা লিগে অভিযান শুরু করেছে। ইস্টবেঙ্গলের কাছে চ্যালেঞ্জ ছিল ভাল শুরু করার। কিন্তু রেনবোর বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচেই হোঁচট খেল বিনো জর্জের প্রশিক্ষণাধীন লাল-হলুদের রিজার্ভ দল। কিশোরভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ম্যাচ গোলশূন্য ড্র হয়।

দেবজিৎ ঘোষের কোচিংয়ে রেনবো দারুণ লড়াকু ফুটবল উপহার দিয়ে রুখে দিল ইস্টবেঙ্গলের মতো হেভিওয়েট দলকে। মোহনবাগানের মতোই লাল-হলুদ কলকাতা লিগে তাদের ডেভেলপমেন্ট টিম খেলাচ্ছে। কিন্তু লিগের প্রথম ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের প্রস্তুতির অভাব চোখে পড়েছে।রক্ষণ, মাঝমাঠ এবং ফরোয়ার্ড লাইনে বোঝাপড়ার অভাব স্পষ্ট। তার উপর খেলার শুরুতেই গোলরক্ষক আদিত্য পাত্র কাঁধে গুরুতর চোট পেয়ে বেরিয়ে যাওয়ায় তাল কাটে লাল-হলুদের। প্রাথমিক শুশ্রূষার পর তাঁকে মাঠ থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।তবে চোট গুরুতর নয়। পরিবর্ত হিসেবে নেমে গোলের নীচে নির্ভরতা দেন মহম্মদ নিশাদ।

ইস্টবেঙ্গল অবশ্য গোটা ম্যাচে ছন্নছাড়া ফুটবল খেলায় জয় পায়নি। তুল্যমূল্য লড়াই হলেও দ্বিতীয়ার্ধে লাল-হলুদের প্রাধান্যই বেশি ছিল। প্রথমার্ধটা ছিল রেনবোর। পঙ্কজ মৌলা, জয়দীপ গোগইরা সুযোগ নষ্ট করায় লিড নিতে পারেননি। ইস্টবেঙ্গলও একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। সহজতম সুযোগ নষ্ট করেন ইস্টবেঙ্গলের মহম্মদ নিয়াজ, তুহিন দাসরা। ফাইনাল থার্ডে গিয়ে বারবার আটকে গিয়েছেন লাল-হলুদের আক্রমণভাগের ফুটবলাররা। রেনবোর গোলরক্ষক সত্যব্রত মান্না এবং ডিফেন্ডার সৌরভ দাশগুপ্ত এদিন অসাধারণ ফুটবল খেলেন। ইস্টবেঙ্গলের একের পর এক আক্রমণ প্রতিহত করেন সৌরভ। বেশ কয়েকটি অনবদ্য সেভও করেন সত্যব্রত। ম্যাচের সেরা হন সৌরভ।

এদিকে শুরুতেই পয়েন্ট খুইয়ে প্রস্তুতির অভাবকেই দায়ী করছেন কোচ বিনো জর্জ। এই নিয়ে তিনি বলেন, “অল্প কয়েকদিন অনুশীলন করেছি আমরা। তাই ফুটবলারদের মধ্যে বোঝাপড়া গড়ে ওঠেনি। আমি এখনও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশা রাখি। চেষ্টা করব ভুলত্রুটি শুধরে নিতে।”

এদিকে, ভিসা সমস্যা মিটে গিয়েছে। আগামী সপ্তাহেই শহরে চলে আসছেন ইস্টবেঙ্গলের সিনয়র দলের কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত।

আরও পড়ুন:বড় সিদ্ধান্ত আইসিসির, পুরস্কার মূল‍্যে উঠল ছেলে-মেয়ের ভেদাভেদ