তমলুক টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি চঞ্চল খাঁড়াকে রাস্তায় ফেলে মার। প্রতিবাদে সোমবার সন্ধ্যায় তমলুক থানার সামনে বিক্ষোভ তৃণমূলের। আইসি-কে হুঁশিয়ারি কুণাল ঘোষের। বিজেপিকে মদত দেওয়ার অভিযোগে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের হুঁশিয়ারির মুখে তমলুক থানার আইসি।
কুণাল হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আইসি-কে ২৪ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি, বাকি অভিযুক্তদের ধরে আনুন। না হলে আন্দোলন কোথায় নিয়ে যেতে হয় আমরা বুঝিয়ে দেব’। তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, আইসির মদতে তমলুক থানা অভিযোগ নিচ্ছে না । যদিও বা কখনও নিচ্ছে ইচ্ছামতো বয়ান বদলে দিচ্ছে। মঙ্গলবার রাতের মধ্যে দোষীদের গ্রেফতার করার দাবি জানান তিনি।
কুণালের আরও অভিযোগ , সময় মতো তমলুক থানার আইসি শহর তৃণমূলের সভাপতি চঞ্চল খাঁড়াকে উদ্ধার করেনি । এমনকি তাদের ফরওয়ার্ডিং লেটারে গলদ ছিল বলে দুজন দিব্যি জামিন পেয়ে গেছে। এদিন তমলুক থানার সামনে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের বিক্ষোভে সামিল হয়ে কুণালের অভিযোগ, আক্রান্ত চঞ্চলবাবুর স্ত্রী থানায় যে অভিযোগ জানিয়েছেন তার ভিত্তিতে এখনও তদন্ত শুরু করা হয়নি।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার রাতে।তমলুক শহর তৃণমূলের সভাপতি চঞ্চল খাঁড়াকে বেধড়ক মারধর করা হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় তাঁর বাইক। তাঁকে উদ্ধার করে তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ।
বিজেপির এই নৃশংসতার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা করে ট্যুইটও করা হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। গেরুয়া শিবিরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বলা হয়েছে , যে বিজেপি পঞ্চায়েত নির্বাচনে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার অজুহাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামিয়েছে, নির্বাচনের একদিন পরেই তারা নিজেরাই আবার হিংসায় মমেতে উঠেছে। এটা সত্যিই ভয়ঙ্কর। এই ধরনের দ্বিচারিতা এবং গণতন্ত্রের অবমাননা শুধু নিন্দনীয় নয়, অত্যন্ত বিরক্তিকরও।
এদিনই গুরুতর আহত চঞ্চল খাঁড়াকে দেখতে কুণাল সহ তৃণমূলের প্রতিনিধি দল তমলুক যান।তারা হাসপাতালে গিয়ে তমলুকের তৃণমূল সভাপতির সঙ্গে দেখা করেন এবং তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন। তাঁকে কলকাতার এসএসকেএম হালপাতালে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে।বিজেপির এই সন্ত্রাসের প্রতিবাদে এদিন তৃণমূল নেতৃত্বের উপস্থিতিতে তমলুকে একটি প্রতিবাদ মিছিলও হয়।







































































































































