হেলিকপ্টার বিভ্রাটের পর থেকেই অসুস্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপাতত বাড়িতেই রয়েছেন তিনি। কিন্তু কীভাবে কপ্টারে এমন বিভ্রাট ঘটল, তা নিয়ে তদন্তে নেমেছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ)। জানা গেছে, বেসরকারি ওই হেলিকপ্টারের ডিজিটাল ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (ডিএফডিআর)-এ থাকা তথ্য খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন:পুনর্নির্বাচনের আগের রাতে রানিনগরে তৃণমূল কর্মীর মৃ.ত্যু

দেশের আকাশে বিমান, হেলিকপ্টার সংক্রান্ত কোনও দুর্ঘটনা বা বেনিয়ম ঘটলে আকাশের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ তার তদন্ত করে। তারা জানিয়েছে, ঘটনার দিন ক’টার সময়ে হেলিকপ্টার উড়েছিল, তার ওয়েদার রেডারে কোনও আগাম সতর্কতা ছিল কি না, ক’টার সময়ে হেলিকপ্টার মুখ ঘুরিয়ে অন্যত্র চলে গিয়েছিল, সে সব তথ্যই জমা থাকে ডিএফডিআর-এ।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জুন জলপাইগুড়ির ক্রান্তির সভাস্থল থেকে হেলিকপ্টারে বাগডোগরা পৌঁছনোর কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু, মাঝপথে দুর্যোগের মুখে পড়ে মুম্বইয়ের একটি সংস্থা থেকে ভাড়া নেওয়া সেই হেলিকপ্টার। দৃশ্যমানতা প্রায় তলানিতে চলে যায়। ঝড়-বৃষ্টিতে বিপজ্জনক ভাবে দুলতে থাকে হেলিকপ্টারটি। বেগতিক দেখে হেলিকপ্টারের দুই পাইলট শালুগাড়ায় সেনাবাহিনীর হেলিপ্যাডে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে জরুরি অবতরণ করেন। অভিযোগ, খারাপ আবহাওয়ার জন্য দুলুনিতে এবং শালুগাড়ায় সিঁড়ি না থাকায় হেলিকপ্টার থেকে নামতে গিয়ে কোমরে ও হাঁটুতে চোট পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
ঘটনার কথা জানতে পেরে সমস্ত তথ্য চেয়ে পাঠায় ডিজিসিএ।এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে ওই আধুনিক হেলিকপ্টারে ওয়েদার রেডার রয়েছে। কোনও গন্তব্যে রওনা হওয়ার আগে আকাশপথে (এনরুট) কোথাও দুর্যোগ রয়েছে কি না, তা আগেভাগে জেনে যাওয়ার কথা ছিল পাইলটদের। ওয়েদার রেডার মারফত সেই দুর্যোগের কথা জানা থাকলে কেন পাইলটরা ঝুঁকি নিয়েছিলেন। অন্যদিকে, মাঝপথে কোনও দুর্যোগে পড়লে সাধারণত যেখান থেকে রওনা হয়েছিল হেলিকপ্টার সেখানেই ফিরে আসার কথা। এক্ষেত্রে তা কেন করা হয়নি?
ডিজিসিএ কর্তারা জানিয়েছেন, ওই ঘটনার পরে কপ্টারের দুই পাইলটের ভূয়সী প্রশংসা করে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই চিঠিও এখন তদন্তের অঙ্গ। এক কর্তার কথায়, ‘‘এই ধরনের ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে সামান্য গাফিলতির সন্দেহ থাকলে পাইলটদের ডিউটি থেকে বসিয়ে তদন্ত করা হয়। কিন্তু, এ ক্ষেত্রে স্বয়ং ভিআইপি যে ভাষায় পাইলটদের প্রশংসা যখন করেছেন, তখন তা তাঁদের পক্ষেই গিয়েছে। তাঁদের বসিয়ে দেওয়া হয়নি। তদন্ত শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’।















































































































































