ভোট মেটার পরেও উ.ত্তপ্ত মুর্শিদাবাদের শামসেরগঞ্জ এবং রানিনগর

0
3

পঞ্চায়েত ভোটের শুরু থেকেই উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ। রক্তের হোলি মুর্শিদাবাদ জুড়ে। এবার ভোট পরবর্তী হিংসার ছবি দেখা গেল।রবিবার সকাল থেকে উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদের শামসেরগঞ্জ এবং রানিনগর। শামসেরগঞ্জে তৃণমূল এবং নির্দল প্রার্থীর দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে উত্তপ্ত এলাকা। শামসেরগঞ্জ থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু তাজা বোমা। অন্য দিকে, মুর্শিদাবাদেরই বেলডাঙায় কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের উপরে হামলার অভিযোগ উঠেছে। তার প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মীরা। সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

রানিনগরে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের উপরে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তাতে আহত চার তৃণমূল কর্মী, এমনটাই দাবি তৃণমূলের।ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন চারজন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বেগমা বিবি (৫৫), শাহানারা বিবি (২৪), সাবিনা খাতুন (১৮) ও মেরাজ শেখ (৬০)।কংগ্রেস সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে শমসেরগঞ্জের হীরানন্দপুর এলাকায় শুরু হয় বোমাবাজি। তৃণমূল এবং নির্দলের এই দু’পক্ষের সংঘর্ষে বাধে। দু’পক্ষের কয়েক জন কর্মী-সমর্থকের বাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। এলাকা থেকে ফাটা বোমার খোল উদ্ধার করে পুলিশ। শমসেরগঞ্জ থানারই দুর্গাপুর থেকে বেশ কিছু তাজা সকেট বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

কংগ্রেসের অভিযোগ, বেলডাঙায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রাতভর তাদের দলীয় কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে লুটপাট এবং ভাঙচুর চালিয়েছে। এর প্রতিবাদে সকাল ১০টা নাগাদ বেলডাঙা থানার সামনে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে কংগ্রেস। বহরমপুর পুলিশ জেলার সুপার সুরিন্দর সিংহ বলেন, ‘‘কোনও রকম অভিযোগ পেলেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে। সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।’’

অন্য দিকে, ভোটের আগে থেকেই উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদের রানিনগর। প্রথমে মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে অশান্তি ছড়ায় ওই এলাকায়। চলে বোমাবাজি। এরপর ভোটের দিনও ঘটে হিংসার ঘটনা। ভোট চলে যাওয়ার পরও যেন শান্ত হচ্ছে না রানিনগর।

সেই রানিনগর থানার চাকরানপাড়া গ্রামে তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে ঢুকে তাঁদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তাতে আহত চার তৃণমূল কর্মী-সমর্থককে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় গোধনপাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। তাঁদের মধ্যে মেরাজ শেখ নামে এক তৃণমূল কর্মীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। গ্রামে বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। কংগ্রেস অবশ্য তৃণমূলের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।