আকাশ ঢেকে যায় ‘তারের জালে’! এবার ‘তারের জঞ্জাল’ সাফে উদ্যোগী পুরসভা

0
6

কলকাতা মহানগরকে তারের জাল থেকে মুক্তি দিতে রাজ্য সরকার ও কলকাতা পুরসভা সুসংহত পরিকল্পনা তৈরি করেছে। বিদ্যুৎ, টেলিফোন, ইন্টারনেট তথা টেলিভিশনের যাবতীয় তার মাটির মাটির তলা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। প্রথম পর্বে শহর কলকাতার ৩০ কিলোমিটার এলাকায় রাজপথের নিচে তার বসানোর কাজ কাজ শুরু হয়েছে। এই পর্যায়ে দক্ষিণ কলকাতার হাজরা রোড, আশুতোষ মুখার্জি রোড, এস পি মুখার্জি রোড, চেতলা সেন্ট্রাল রোড, পার্ক স্ট্রিট সহ মোট ১০টি রাস্তায় পাইপলাইন পাতার কাজ চলছে। মূল রাস্তা না খুঁড়ে ফুটপাতের তলা দিয়ে মোটা আকারের পাইপ বিছানো হচ্ছে বলে পুর দফতর সূত্রে জানা গেছে। তারের জঙ্গল সরিয়ে দৃশ্যদূষণ ও বিপদ রুখতে এই পদক্ষেপ।

প্রসঙ্গত, কলকাতার মেয়র হিসাবে দ্বিতীয়বার দায়িত্ব নেওয়ার পর মেয়র ফিরহাদ হাকিম কেবল ও ব্রডব্যান্ড সংযোগকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠক করে সরকারি নীতি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। জানিয়ে দিয়েছিলেন, রাস্তার ওপরে তারের জঙ্গল রাখা যাবে না। তারপর ঠিক হয়, শহরজুড়ে অব্যবহৃত তার কেটে ফেলা হবে। বাকি তার একত্র করে ট্যাগ লাগিয়ে দেওয়া হবে। বছরখানেক আগে হরিশ মুখার্জি রোডে এই কাজের জন্য পাইলট প্রজেক্ট হয়েছিল। দ্বিতীয় পর্যায়ে শহরের আরও ২৪ কিলোমিটার রাস্তায় ফুটপাতে ভূগর্ভস্থ পাইপলাইন পাতা হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ৩৪ কিমি পথে এখনও পর্যন্ত সেই কাজ হয়েছে। এবার তৃতীয় পর্যায়ের কাজ চলছে। বারবার ফুটপাত খোঁড়াখুঁড়ি আটকাতে মোটা আকারের পাইপ বসানো হচ্ছে। ৯ ইঞ্চি ব্যাসের দু’টি পাইপলাইন পাতা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ১০ থেকে ১৫ মিটার অন্তর একটি করে খোলা জায়গা থাকছে। এর ফলে কোনও সমস্যা দেখা দিলে সেই জায়গা দিয়ে তারগুলি ভিতরে ঢোকানো বা বের করা যাবে।

পুরআধিকারিকদের দাবি, শহর কলকাতার রাস্তাঘাটে দৃশ্যদূষণ রোধ করাই এই কাজের মূল লক্ষ্য। মাটির নীচে দিয়ে তার নিয়ে যাওয়ার জন্য সংস্থাগুলি আংশিক খরচ দিচ্ছে। এতদিন এই ধরনের খোঁড়াখুড়ির জন্য সংস্থাগুলিকে পুরনিগমের কাছে ‘কশন মানি’ জমা রাখতে হতো। কিন্তু এই প্রথম ‘ইনস্টলেশন চার্জ’ বাবদ টাকা নেওয়ার নিয়ম চালু করেছে পুরনিগম। প্রথমে একলপ্তে ১৫ বছরের ভাড়ার টাকা নেওয়া হবে। ছোট সংস্থাগুলিকে ইতিমধ্যেই পাইপলাইনের তার পাতার জন্য ১৩ লক্ষ টাকার বিল পাঠানো হয়েছে। বড় সংস্থাগুলির জন্য ভাড়ার অঙ্ক তার তুলনায় বেশি।

আরও পড়ুন- শহরে মার্টিনেজ, কলকাতা সফরে আর্জেন্তেনীয় গোলরক্ষকের পাতে পড়বে কী কী?