বিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়েও জাতপাতের ভেদাভেদ এখনও একই জায়গায় দাঁড়িয়ে। বি আর আম্বেদকরের ভারতে এখনও উচ্চবর্ণ-নিম্নবর্ণের মধ্যে লড়াই। সম্মানের কথা তো দূর,মৃত্যুর পরও সৎকারে বাধা। এরমই ঘটনা ঘটেছে তামিলনাড়ুর শূলগিরিতে । জাতে দলিত। তাই সৎকার করতে দেবে না গ্রামের উচ্চবর্ণের কিছু মানুষ। শেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে জট কাটল।দলিত মহিলার মৃতদেহ দু’কিলোমিটার পথ কাঁধে করে বহন করল পুলিশই।

আরও পড়ুন:রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের চক্রান্ত তুলে ধরতেই প্রতিহিংসা পরায়ণ রাজ্যপাল: ওমপ্রকাশ

শুক্রবার ৮৫ বছর বয়সি লক্ষুমাম্মার মৃত্যুর পর তাঁর দেহ সৎকারের জন্য উদ্যোগী হয় পরিবার। কিন্তু অভিযোগ, সমাজের তথাকথিত উচ্চবর্ণের কিছু মানুষ সৎকারে বাধা দেন। তাঁরা জানান, দলিত হওয়ার কারণে কবরস্থানে বৃদ্ধার দেহ নিয়ে যাওয়া যাবে না। লক্ষুমাম্মার দেহ কৃষ্ণমপালয়ম গ্রামের পথ ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেখানেই গ্রামবাসীরা তাঁদের বাধা দেন বলে অভিযোগ।
শুধু তাই নয়,গ্রামবাসীদের একাংশ কবরস্থানের পথ আটকে বসে পড়ে। মৃতের পরিবার উপায় না পেয়ে জাতীয় সড়কে মৃতদেহ রেখে বিক্ষো দেখাতে শুরু করে। এর ফলে শূলগিরি জাতীয় সড়কে বেশ কিছুক্ষণের যানজট সৃষ্টি হয়।তবে তাতেও মন গলেনি গ্রামবাসীদের। তারা তাদের নিয়মের ঘেরাটোপ থেকে একচুলও সরেনি।এরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ।

সমাজে জাতপাতের ভেদাভেদ হটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পুলিশ। তাঁরা বৃদ্ধার মৃতদেহ নিজেদের কাঁধে তুলে কবরস্থানে পৌঁছে দেন। দীর্ঘক্ষণ পর সন্ধ্যায় দেহটি সৎকার করা হয়।















































































































































