লা.শের মাঝে মেলেনি নিজের লোকের খোঁজ, দ.গদগে করমণ্ডলের ক্ষ.ত

0
3

ক্যালেন্ডারের তারিখ বলছে প্রায় এক মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পথে। এখনও দগদগে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার (Coromandel Rail Accident)ক্ষত। লাশের স্তূপে শুধুই অচেনা মুখে চেনা প্রিয়জনকে খুঁজে পাওয়ার মরিয়া চেষ্টা। মৃতদের মধ্যে ৮১টি অশনাক্ত দেহ ভুবনেশ্বর এইমসে (Bhubaneswar AIMS) সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিল। শুক্রবার ডিএনএ পরীক্ষার (DNA Test)মাধ্যমে ২৯টি দেহ শনাক্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। একটি দেহ নিয়ে রীতিমতো কাড়াকাড়ি পড়ে গেছিল। দুর্ঘটনার একমাসের মাথাতে প্রিয়জনের দেহ হাতে পেয়ে কান্নায় বিহ্বল পরিবারগুলোর পাশে সমবেদনার ভাষাও যেন কম পড়ছে। মৃতদেহ শনাক্তকরণের জটিলতা কাটাতে এইমস এবং রেলের তরফে ডিএনএ পরীক্ষার বন্দোবস্ত করা হয়। দিল্লির সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরি থেকে ২০ দিন পর তার রিপোর্ট এসেছে।

যে ছ’জনের দেহ পরিবারের হাতে শুক্রবার তুলে দেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে দুজন বিহার এবং দুজন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। এ ছাড়া, ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডের এক জন করে বাসিন্দাও আছেন তালিকায়। বাংলার সন্তান সমীর বাউরি থাকতেন আদ্রায়, পূর্ব মেদিনীপুরের মানস মাইতির দেহ শনাক্ত করে পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে একটি দেহ নিয়ে ১৫টি পরিবারের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়েছিল বলে জানা যায়। এখনও যে ৫২টি দেহ অশনাক্ত, সেগুলিকে এইমসে বিশেষ পদ্ধতিতে -১৭ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে রেলওয়ে সেফ্‌টি কমিশন তদন্তের রিপোর্ট রেল বোর্ডে জমা দেওয়ার পর শুক্রবার দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারকে কর্নাটকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে।