আচমকাই দিল্লির বঙ্গভবনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত! বাঙালি খাবারে মজল মন

0
1

আচমকাই দিল্লির (Delhi) বঙ্গভবনে উপস্থিত হয়ে ‘বাঙালিয়ানায়’ ভাসলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি (Eric Garcetti)। শুক্রবার সকালেই তিনি দিল্লিতে পশ্চিমবঙ্গের অতিথিশালায় (Guest House) আসেন। এদিকে তাঁর আসার কথা শুনতে পেয়েই সাজো সাজো রব বঙ্গভবনে। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের আগমনে তড়িঘড়ি সাজিয়ে তোলা হয় রাজ্য সরকারের অতিথিশালা। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের জন্য ব্যবস্থা করা হয় এলাহি বাঙালি মেনু। আর কি ছিলনা সেই মেনুতে আম পান্না থেকে থেকে শুরু করে ফিস ফ্রাই, শুক্তো থেকে লুচি-কষা মাংস, এমনকী শেষপাতে আমের চাটনি, রসগোল্লা, সন্দেশ কিছুই বাদ যায়নি।

তবে এই প্রথমবার মার্কিন রাষ্ট্রদূত বঙ্গভবনে এলেন। শুক্রবার সকালে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি বঙ্গ ভবনে আসেন। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন মিডিয়া অ্যাডভাইসর রাজা ভট্টাচার্য। এদিকে রাষ্ট্রদূতের আসার খবর পেয়েই তড়িঘড়ি হ্যালি রোডের বঙ্গভবনে এসে পৌঁছন রাজ্য সরকারের রেসিডেন্ট কমিশনার দফতরের আধিকারিকরা। মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানাতে তখন জোরকদমে চলছে কাজকর্ম। তবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বাংলার একাধিক পদ চেখে দেখতে চেয়েছিলেন বলে এদিন একাধিক বাঙালি পদও তাঁর জন্য বিশেষভাবে রান্না করা হয়।

কী কী ছিল মেনুতে?

প্রথমেই আমপান্না, ফিসফ্রাই
মধ্যাহ্নভোজনে কাঁচাকলা দিয়ে শুক্তো, মোচা ঘণ্ট, থোড়ের চাপর ঘণ্ট, কাতলা কালিয়া, ভেটকি পাতুরি, লুচি, কষা মাংস
শেষ পাতে ছিল আমের চাটনি, রসগোল্লা, সন্দেশ, কলার মালপোয়া, মিষ্টি দই

তবে জানা গিয়েছে, এদিন যাবতীয় পদ অত্যন্ত তৃপ্তিভরে খান তিনি। তাঁর জন্য রান্না করেছিলেন বাঙালি রাঁধুনি সমর মুখোপাধ্যায়। এদিন তাঁর হাতের রান্না খেয়ে আপ্লুত হয়ে পড়েন এরিক গারসেটি। পাশাপাশি বাংলার ফুটবল, সংস্কৃতি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বাঙালি খাবারের প্রশংসা করেন তিনি। তবে এদিন বাংলার খাবার খেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে রাষ্ট্রদূত বাংলায় বলেন, শীঘ্রই দেখা হবে কলকাতায়। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, বাঙালি খাবার, সংস্কৃতি, ফুটবল আমাকে আকৃষ্ট করে। মাছের বিভিন্ন পদের মধ্যে পাতুরি খুব ভালো লেগেছে। কলা ভাজাও আমার খুব পছন্দের। তবে এত সুন্দরভাবে খাবার তৈরি করা হয়েছে, যা সত্যি অসাধারণ। রবীন্দ্র সঙ্গীতও খুব ভাল লাগে আমার। এছাড়াও তিনি ভবিষ্যতে মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের ডার্বি ম্যাচ দেখার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন তিনি।