বিজেপি বিরোধী জোটের দ্বিতীয় বৈঠকের জায়গা বদল। হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) সিমলা (Simla) নয়, বৈঠক হবে কর্নাটকের (Karnatak) রাজধানী বেঙ্গালুরুতে (Bangalore)। NCP প্রধান শরদ পওয়ার (Sharad Pawor) জানান, ’’১৩-১৪ জুলাই বেঙ্গালুরুতে বিরোধী জোটের দ্বিতীয় বৈঠক হবে।’’
পাটনায় বিরোধীদলের প্রথম বৈঠকের পর জানানো হয়, পরের বৈঠক হবে সিমলায়। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে জানিয়েছিলেন, প্রাথমিকভাবে ১২ জুলাই বৈঠকের দিন স্থির হয়েছে। কিন্তু শরদ পওয়ার স্থান-কাল পরিবর্তনের কথা জানিয়ে বলেন, ‘‘আগামী ১৩-১৪ জুলাই বেঙ্গালুরুতে বিরোধী জোটের দ্বিতীয় বৈঠক হবে।’’ হঠাৎ কংগ্রেস শাসিত হিমাচল প্রদেশের বদলে আরেক কংগ্রেস শাসিত কর্নাটকে কেন বৈঠকের স্থান নির্বাচন করা হল? *সূত্রের খবর, আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত।* কারণ, হিমাচল প্রদেশে বন্যা পরিস্থিত ভয়াবহ হচ্ছে। ভরা বর্ষায় পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। এই আশঙ্কায় বৈঠকের স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। শৈল শহরের বদলে বেঙ্গালুরুতেই বৈঠক করা হবে।
আগামী লোকসভা নির্বাচনে দিল্লিতে পরিবর্তনের লক্ষ্যে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দেওয়ার রণকৌশলকে সামনে রেখেই এগোচ্ছে বিজেপি-বিরোধী জোট। ২৩ জুন পাটনায় নীতীশ কুমারের বাসভবনে প্রথম বৈঠকে এই বিষয় নিয়েই প্রধানত চর্চা হয়। লোকসভা ভোটে তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi), এসপি নেতা অখিলেশ যাদব-সহ বিরোধী নেতৃত্ব ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়ার বার্তা দিয়েছিলেন। তবে, দিল্লির আমলাতন্ত্র নিয়ন্ত্রণের কেন্দ্রীয় অর্ডিন্যান্সকে সামনে রেখে জোটের রাস্তায় হাঁটতে চান আপ নেতা তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কংগ্রেস প্রকাশ্যে বিরোধিতার ঘোষণা না করলে, পরের বৈঠক বয়কটের ঘোষণা করে বৈঠক ছাড়েন কেজরিরা। এই পরিস্থিতিতে বেঙ্গালুরুর বৈঠকে তাঁরা থাকবেন কি না- তা এখনও স্পষ্ট নয়। এক সঙ্গে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থীর ক্ষেত্রে রাজ্যের নেতৃত্বের উপর সিদ্ধান্ত ছেড়ে সিপিএম। এই পরিস্থিতি পরবর্তী জোট বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।