ভোটের আগে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত, আনন্দের মন্তব্যের পাল্টা ধুয়ে দিলেন কুণাল

0
1

ফের রাজ্য রাজ্যপাল সংঘাত চরমে!পঞ্চায়েত ভোটের আসার আগে অশান্তি নিয়ে আবারও বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবার সকালে শিলিগুড়ির সার্কিট হাউসে বিরোধীদের সঙ্গে বৈঠকের পরে সিভি আনন্দ বোস চড়া সুরে বলেন, “গণতন্ত্রের পাহারাদারের হাতে গণতন্ত্রের মৃত্যুঘণ্টা না বাজে। সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।” পঞ্চায়েত ভোটে কোনরওরকম সন্ত্রাস বরদাস্ত করা হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেন তিনি। এর পালটা তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ,”রাজ্যপাল রাজধর্ম পালন থেকে বিচ্যুত হয়েছেন। এবং বিজেপির দলদাসের ভূমিকা পালন করছেন।”

আরও পড়ুন:ফের ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা মোদি সরকারের, এবার ঔরঙ্গজেব লেনের নামও বদলাচ্ছে!

এদিন সকালে শিলিগুড়ির সার্কিট হাউসে ‘সর্বদলীয় বৈঠক’ সারেন রাজ্যপাল। বৈঠকে বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তার নেতৃত্বে পাহাড়ের ইউনাইটেড ফোরামের সদস্যরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নীরজ জিম্বা, প্রতাপ খাতিরা। বিমল গুরুং কিংবা অজয় এডওয়ার্ডরা রাজ্যপালের বৈঠকে উপস্থিত না থাকলেও হাজির ছিলেন তাঁদের দলের প্রতিনিধিরা। বেশ কিছুক্ষণ তাঁরা রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এদিনের বৈঠক শেষে সাংবাদিক রাজ্যপাল বলেন, “রাজ্যে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করানোর নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। এরপরেও বেশকিছু জায়গায় সন্ত্রাসের রাজনীতি, খুনের রাজনীতি চলছে।” তিনি জানান, রাজু বিস্তা অভিযোগ করেছেন পাহাড়ে না কি তাঁদের প্রার্থীদের প্রচার করতে দেওয়া হচ্ছে না। অনেককে মনোনয়ন জমা পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি। তাঁরা রাজ্যপালকে একটি অডিও শুনিয়েছেন। যাতে স্থানীয় এক নেতাকে বিরোধী প্রার্থীদের হুমকি দিতে শোনা গিয়েছে। এরপর আনন্দ বোসের কড়া বার্তা, “এসব মেনে নেওয়া যায় না। কোনওরকম হিংসা বরদাস্ত করা হবে না।”

রাজ্যপালের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কুণাল ঘোষ বলেন,”নির্বাচনের মুখে রাজ্যপাল বিরোধীদের হাত কীভাবে শক্ত করা যায়, অত্যন্ত গভীর পক্ষপাতদুষ্ট হিসাবে এই ধরণের একটা বিকৃত আচরণ করছেন।৭৩ হাজার বুথের মধ্যে পাঁচটা ছ’টাতে বিরোধীরা গণ্ডগোল করছে। তৃণমূলের রক্ত ঝরছে। রাজ্যপাল এখনও কোনও তৃণমূল নিহত কর্মীর বাড়ি যাওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি।পাহাড়ে বসে তৃণমূল ছাড়া অন্য দলগুলোকে উৎসাহ দিচ্ছেন,ডাকছেন, কথা বলছেন। রাজভবনকে ব্যক্তিস্বার্থে মিসইউজ করার যে অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে, তার থেকে কীভাবে নজর ঘোরানো যায় তিনি এই ধরণের বিকৃত কথা বলছেন।”