তাঁর আকস্মিক মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা বলিউড ইন্ডাস্ট্রিকে (Bollywood Industry)। হাজারো অনুরাগীর মনখারাপ, একাধিক অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ সব মিলিয়ে একাধিকবার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছেন তিনি। মাত্র ৩৪ বছর বয়সেই বলি অভিনেতা যে সবাইকে আলভিদা জানিয়ে চলে যাবেন, তা যেন মেনে নিতে পারেননি কেউ। যাঁরা তাঁর অনুরাগীও ছিলেন না, তাঁদেরও মনকে সমানভাবে ছুঁয়ে গিয়েছিল সুশান্ত সিং রাজপুতের (Sushant Singh Rajput) মৃত্যু। তবে তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন নাকি তাঁর মৃত্যুর পিছনে ছিল অন্য রহস্য, সেই উত্তর আজও মেলেনি। ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে সুশান্ত সিং মৃত্যু মামলার বিভিন্ন তদন্ত চলছে। সম্প্রতি এই তদন্তে একটি বড় পদক্ষেপের কথা জানালেন মহারাষ্ট্রের (Maharshtra) উপ মুখ্যমন্ত্রী (Deputy Chief Minister) দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ (Devendra Fadnavis)।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ফড়ণবীশ বলেন, প্রথমে যে খবর পাওয়া যাচ্ছিল, সেটা পুরোটাই কানাঘুষো ছিল। তবে এখন বেশ কয়েক জন ব্যক্তি সাক্ষ্যপ্রমাণ সহ সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন। তার ভিত্তিতে আমরা তাঁদের জানিয়ছি, তাঁরা যেন পুলিশের কাছে সেই সব তথ্যপ্রমাণ অবিলম্বে জমা দেন। ফড়ণবীশ আরও বলেন, আমরা এখন হাতে আসা প্রমাণ যাচাই করার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছি। তদন্ত জোরকদমে চলছে। আর তা শেষ হওয়ার আগে কোনও কিছু বলে দেওয়া উচিত হবে না। মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে যা যা তথ্যপ্রমাণ জমা পড়েছে, সেই সমস্ত তথ্য যাচাই করা হয়েছে। পাশাপাশি ইতিমধ্যে কিছুজনের বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে। এই কেসে প্রাথমিক যা যা প্রমাণ জড়ো করার ছিল তার প্রায় সবটাই জড়ো হয়ে গিয়েছে। সেগুলো নিয়ে এখন তদন্ত চলছে।
২০২০ সালের জুন মাসে সুশান্ত সিং রাজপুতকে তাঁর অ্যাপার্টমেন্টে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। সেই কেসে তৎকালীন বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী (Riya Chakravorty) এবং তাঁর ভাই আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে স্ক্যানারের আওতায় এসেছিলেন। বর্তমানে সুশান্তের মামলার সিবিআই তদন্ত করছে কিন্তু এখনও কোনও ক্লোজার রিপোর্ট দাখিল করা হয়নি।