পঞ্চায়েত ভোটে মোতায়েন করতে হবে ৮০০ কোম্পানির বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী- নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। কিন্তু দুদফায় ৩২৭ কোম্পানি বাহিনী মিললেও, বাকি ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী পাঠানোর বিষয় নিয়ে নীরব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Home Ministry)। এই অবস্থায় মোট ৩২৭ কোম্পানি বাহিনী দিয়েই ভোট করাতে হবে এমনটা ধরে নিয়ে এগোচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)।

বুধবার থেকেই দ্বিতীয় পর্যায়ে রাজ্যে আসতে শুরু করেছে আরও ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই বাহিনী জেলাগুলিতে এসে পৌঁছানো মাত্রই তাদের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কোন জেলায় কোন কেন্দ্রীয় বাহিনীর কত জন জওয়ান থাকবে কমিশনের আবেদন মতো তারও তালিকা তৈরি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

তালিকা অনুযায়ী,
• ১১ জেলায় আসছে CRPF
• ৬ জেলায় আসছে CISF
• ৯ জেলায় আসছে BSF
দুই ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, নদিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় CRPF মোতায়েন থাকবে। একইভাবে CRPF মোতায়েন থাকবে পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, হুগলি, বীরভূম ও ঝাড়গ্রামে। দুই ২৪ পরগনায় পঞ্চায়েত ভোট সামলাবে BSF। একইভাবে সীমান্ত রক্ষা বাহিনী তথা BSF মোতায়েন থাকবে মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, কোচবিহার, নদিয়া, মালদহ, দুই দিনাজপুর, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ারে। এছাড়াও দুই বর্ধমানে মোতায়েন থাকবে SSB। পুরুলিয়ায় ভোট সামলাবে CISF।
কমিশন সূত্রের খবর, এদিন যে ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী আসার কথা, তার মধ্যে ২০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী ছাড়াও ১২ রাজ্যের ১১৫ কোম্পানি সশস্ত্র পুলিশ রয়েছে। কেন্দ্র মোট সিআইএসএফ পাঠাচ্ছে ২৫ কোম্পানি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেওয়া হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনায় ৯ কোম্পানি। তারপর পুরুলিয়ায় ৬ কোম্পানি। বিএসএফ পাঠানো হচ্ছে ৬০ কোম্পানি। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মুর্শিদাবাদে ১২ কোম্পানি। তারপর কোচবিহারে ১০ কোম্পানি। কমিশন বলেছিল, পঞ্চায়েত ভোটে কোন জেলায় কত সিআরপিএফ, বিএসএফ ও সিআইএসএফ তা ঠিক করুক কেন্দ্র। কারণ, কোন বাহিনী কোথায় যাবে তা বলার কথা নয় কমিশনের। সেটা ঠিক করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কমিশন শুধুমাত্র জানিয়ে দেবে কোথায় কত বাহিনী পাঠাতে হবে।
এরপরই কমিশনকে চিঠি লিখে বাহিনী মোতায়েনের বিন্যাস পাঠালো কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা,ঝাড়গ্ৰাম ও নদিয়ায় সিআরপিএফ পাঠাচ্ছে কেন্দ্র।
কমিশন সূত্রে খবর, বাহিনী চাওয়া হয়েছিল-
• আলিপুরদুয়ারে ৬ কোম্পানি
• বাঁকুড়ায় ২৪ কোম্পানি
• বীরভূমে ১৯ কোম্পানি
• কোচবিহারে ১৪ কোম্পানি
• দক্ষিণ দিনাজপুরে ৬ কোম্পানি
• দার্জিলিঙে ৫ কোম্পানি
• হুগলিতে ১২ কোম্পানি
• হাওড়ায় ১০ কোম্পানি
২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আগেই এসেছিল। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলায় রুট মার্চ করতে শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। প্রাথমিকভাবে ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েনের জটিলতা কেটেছে। কিন্তু বাকি ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী তা নিয়ে কিছু বলেনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।














































































































































