আদ্রায় তৃণমূল নেতা খু.নে অ.স্ত্রসহ গ্রে.ফতার মূল অভিযুক্ত

0
2

পাঁচদিনের মাথায় বাঁকুড়ার আদ্রা শহর তৃণমূলের সভাপতি ধনঞ্জয় চৌবের খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) ধৃতের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্রও পেয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম আরজু মালিক। তাঁর বাড়ি বিহারের জামুই এলাকায়।

আরও পড়ুন:প্যারিসে কিশোরীকে গু.লি করে খু.ন ফ্রান্স পুলিশের! প্রতিবাদে বিক্ষো.ভ, পুলিশের গাড়িতে আ.গুন
গত বৃহস্পতিবার সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ পুরুলিয়ার রেলশহর আদ্রার পুরাতন বাজারের কাছে তৃণমূলের কার্যালয়ে গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে যান দলের আদ্রা শহর সভাপতি ধনঞ্জয় চৌবে। গুলিবিদ্ধ হয়ে জখম হন তাঁর নিরাপত্তারক্ষীও। এই ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই পরিবারের তরফে অভিযোগ করা দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ।সেই সূত্র ধরেই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ।

জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম আরজু মালিক। তার আদি বাড়ি বিহারের জামুই-এ।যদিও দীর্ঘদিন ধরে তিনি ঝাড়খণ্ডের বোকারোতে বসবাস করছিল সে। সেখান থেকেই রেলের সিন্ডিকেট চালাত। তার কাছ থেকে একটি ৭.৬৫ এমএম পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিহারের জামুই থেকেই তাকে ট্র্যাক করা হয়। নিতুড়িয়ার ইনানপুরে মঙ্গলবার মধ্যরাতে তাকে গ্রেফতার করে এই ঘটনায় গঠিত হওয়া সিটের সদস্যরা। বুধবার তাকে রঘুনাথপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে। এ প্রসঙ্গে পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আদ্রার খুনের ঘটনার মূল ষড়যন্ত্রকারী তথা রেলের সিন্ডিকেটের মাথাকে আগ্নেয়াস্ত্র সমেত গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও নানা তথ্য জানার চেষ্টা চলছে”।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশনের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ হত আদ্রা ও বোকারো থেকে। এই ডিভিশনে জোনাল টেন্ডার হয়। আগে এই সিন্ডিকেটের মাথা ছিল মুকুল শর্মা। তারপর আরজু মালিক এই কাজ চালাতো। সেখানেই বাধা হয়ে গিয়েছিলেন নিহত তৃণমূল নেতা ধনঞ্জয় চৌবে। তাই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয় বলে পুলিশের দাবি। পুরুলিয়া জেলা পুলিশ জানিয়েছে, আরজু মালিকের সঙ্গে আদ্রার বেনিয়াশোলের বাসিন্দা ধৃত মহম্মদ জামালের আগে থেকেই পরিচিত ছিল। এরা দু’জনে মিলেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। ধৃত আরজু মালিকের নামে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। বেশ কয়েকবার জেলেও ছিল।তবে আরজু মালিকের সঙ্গে ধনঞ্জয় চৌবের খুনে গ্রেফতার কংগ্রেস প্রার্থী আরশাদ হোসেন এবং মহম্মদ জামালের কী সম্পর্ক ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।