চন্দ্রযান-২ অভিযানে সাফল্য সেভাবে ছুঁতে পারেনি ইসরো। এবার, তৃতীয় মিশন। ল্যান্ডার বিক্রমের ভুলত্রুটি শুধরে নিয়ে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)-র অভিযানের প্রস্তুতি চূড়ান্ত করে ফেলেছে ইসরো। সব কিছু ঠিক থাকলে, ১৩ জুলাই চন্দ্রযান-৩ পৃথিবীর টান ত্যাগ করবে। দুপুর ২টো বেজে ৩০ মিনিটে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধবন স্পেস রিসার্চ সেন্টার থেকে জিএসএলভি মার্ক-৩ (GSLV Mark 3) রকেটে চেপে পৃথিবীর মাটি ছেড়ে যাবে। পালকের মতো নামবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর আঁধার পিঠে। এই গোটা মিশনের জন্য প্রায় ৬১৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরো (ISRO)।
বিক্রম নামের ল্যান্ডারটি রোভার-সহ ২০১৯ সালের ২২ জুলাই যাত্রা শুরু করা চন্দ্রযান-২ চাঁদের পিঠে মুখ থুবড়ে পড়ে। তার পর থেকে চন্দ্রাভিযান নিয়ে আর কিছু জানায়নি ইসরো। বরং মহাকাশে মানুষ পাঠানো নিয়েই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। সেই গগনযান মিশনের প্রস্তুতিও তুঙ্গে। এর মধ্যেই ইসরো ঘোষণা করেছে তৃতীয় চন্দ্রযাত্রার প্রস্তুতি শেষের দিকে। এবার আর কোনও ভুল হোক চাইছে না ইসরো। সেই কারণে ল্যান্ডারের মডেল ও তার সফট ল্যান্ডিং করানোর বিষয়ে জোরদার গবেষণা হয়েছে। এর দায়িত্বে আছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ অভিজ্ঞ গবেষক। মোট ১৩টি ‘থ্রাস্টার’ রয়েছে এবারের চন্দ্রযানে। এটি সফট ল্যান্ডিং করতে সাহায্য করবে। জ্বালানি সহ মহাকাশযানটির ওজন প্রায় আড়াই হাজার কেজি। জ্বালানিশূন্য অবস্থায় সেটির ওজন ৫০০ কিলোগ্রামে নেমে আসবে। তাতে থাকবে বিশেষ ক্যামেরা এবং অন্যান্য প্রযুক্তি। অবতরণস্থল থেকে যদি ল্যান্ডার সরেও যায় তাহলেও যাতে তার সঙ্গে যোগাযোগ বজায় থাকে সেই প্রযুক্তিও দেওয়া হচ্ছে। এই অভিযান সফল হলে তার থেকে পাওয়া তথ্য পরবর্তী গবেষণায় সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন- অবশেষে খোঁজ মিলল প্রিগোজিনের! বর্তমানে কোথায় আছেন তিনি?