বিজেপির সুরেই সুর! অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পক্ষে সওয়াল কেজরির

0
1

লোকসভা নির্বাচনকে(Loksava Election) মাথায় রেখে দেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)। বিরোধী হলেও বিজেপির(BJP) সুরে সুর মিলিয়ে এবার বার্তা দিলেন আম আদমি পার্টির(AAP) প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল(Arvind Kejriwal)। আপের সম্পাদক (সংগঠন) সন্দীপ পাঠক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বললেন, “আমরা দেশের সকলের জন্য একই আইনের পক্ষে। তবে এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ঐকমত্য গড়ে তোলার প্রয়োজন রয়েছে।”

মঙ্গলবার ভোপালে বিজেপির বুথ কমিটির সভাপতিদের নিয়ে ‘মেরা বুথ সবসে মজবুত’ কর্মসূচিতে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পক্ষে সওয়াল করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জানান, “কোনও পরিবারে যদি প্রত্যেক সদস্যের জন্য আলাদা আলাদা আইন থাকে, তা হলে কি সেই সংসার চালানো যায়? দেশের এক একটি সম্প্রদায়ের জন্য যদি এক এক রকম আইন থাকে, তা হলে দেশ এগোতে পারে না। সংবিধানেও সকলের জন্য সমান আইনের কথা বলা আছে।” কেন্দ্র-নিযুক্ত আইন কমিশনের তরফে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর বিষয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন এবং আমজনতার মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সন্দীপ বলেন, ‘‘আম আদমি পার্টি ভারতীয় সংবিধান মেনেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধির ক্ষেত্রে পদক্ষেপ চায়।’’ সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির মাঝে ‘আপ’-এর বক্তব্য ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, দিল্লির আমলাতন্ত্র নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রের জারি করা অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতায় ইতিমধ্যেই বিভিন্ন বিজেপি বিরোধী দলের নেতৃত্বের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন কেজরিওয়াল। গত ২৩ জুন পটনার নীতীশ কুমারের ডাকে বিরোধী নেতৃত্বের বৈঠকেও হাজির ছিলেন তিনি। ওই বৈঠকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, তাঁরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে মোদি সরকারের বিভিন্ন বিলের বিরোধিতা করবেন।

এপ্রসঙ্গে বিরোধীদের একাংশের অভিযোগ, আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে এই বিধিকে বিজেপি ‘তুরুপের তাস’ করতে চাইছে। কারণ, এর ফলে মুসলিম সংগঠনগুলি তাদের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ হচ্ছে বলে আপত্তি তুলবে। আর সেই সুযোগে বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধির মতো সমস্যাগুলি তখন পিছনের সারিতে চলে গিয়ে মেরুকরণের রাজনীতিই প্রধান হয়ে ওঠার সম্ভাবনা তৈরি হবে। অতীতে ৩৭০ ধারা রদ নিয়ে মোদী সরকারকে সমর্থন করেছিল আপ। এ বার কি অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পালা?