দিনহাটাকাণ্ডে এবার রিপোর্ট তলব করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।মঙ্গলবার ভোর ৫টা নাগাদ দিনহাটার গীতালদহের জারিধরলা এলাকায় চলল গুলি। এই ঘটনায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে।শাসকদলের দাবি, মৃত ব্যক্তি তৃণমূল কর্মী। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত আরও ৪ জন। শাসকদলের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তৃণমূলের কর্মীদের উপর গুলি চালিয়েছে। যদিও শাসকদলের আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির।
এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে নিশানা করেছেন সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ বর্মা বাসুনিয়া। তাঁর দাবি, গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভেটাগুড়িতে নিজের বাড়িতে ফিরেই বিজেপি কর্মীদের উস্কানি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করার পর আহতদের জখম অবস্থায় দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তবে গুলিবিদ্ধ ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ার কারণে তাঁদের কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়।
গিতালদহ ২ এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি আনারুল হক বলেন, আমাদের কর্মীরা প্রচার শেষে ঘরের মধ্যে ঘুমোচ্ছিলেন। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ভোরবেলা এলাকায় ঢুকে আমাদের প্রায় ছয় কর্মীর উপর হামলা চালায়। গুলি চালানো হয় কর্মীদের লক্ষ্য করে। গুলি চালানোর পাশাপাশি, এক জনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারা হয়েছে।
দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ বলেন, ওপার থেকে দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বিজেপি।জারিধরলা এমন এলাকা যেখানে বিএসএফের নজর ছাড়া কিছু হওয়া সম্ভব নয়। তার পরেও এই ধরনের আক্রমণ হল। বাংলাদেশ সীমান্তের একেবারে কাছে এ রকম ঘটনা ঘটল। বিএসএফ কী করছিল?
যদিও শাসক তৃণমূলের আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে পদ্ম শিবির। বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, দিনহাটার গীতালদহে জারিধরলা এলাকা সীমান্তবর্তী একটি গ্রাম। যেখানে প্রতিনিয়ত চোরাচালানের কারবার চলে। ওই জায়গায় আমাদের সংগঠন একেবারে নেই বললেই চলে। কিন্তু এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই। খুনের পিছনে হয়ত কোনও চোরাচালান কারবারের যোগ থাকতে পারে।