লু.ঠপাঠ করাই নাকি উৎসব! জানুন গুপ্তিপাড়ার ভান্ডার লু.ঠের রহস্য

0
1

পুলিশের চোখের সামনেই চলে লুঠ, তবে অন্য কিছু লুঠ নয়, জগন্নাথ দেব এর মাসির বাড়ির ভান্ডার লুঠ হয় গুপ্তিপাড়ায়। এই ভান্ডার লুঠ উৎসব চলে আসছে প্রাচীনকাল থেকে। এই ভান্ডার লুঠ ভারতের মধ্যেই কেবলমাত্র হুগলি জেলার বলাগড়ের গুপ্তিপাড়া জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়িতেই প্রচলিত।

লুঠ হয় ১০৮ রকমের ভোগ। কথিত আছে প্রাচীন কালে জমিদার বাহিনীর ১ বছরের জন্য লাঠিয়াল বাহিনীর নিয়োগ করা হতো ভান্ডারলুঠে শক্তি পরীক্ষার মাধ্যমে, কে হবেন লেঠেল বাহিনীর প্রধান অথবা জমিদারের প্রধান সেনাপতি সেটা বাছাইয়ের চাবিকাঠি ছিলো নাকি ভান্ডারলুঠ ।

এই বিষয়ে পুরোহিত প্রবীর ভট্টাচার্য বলেন এই ভান্ডার লুঠ প্রাচীন কাল থেকে চলে আসছে। কথিত আছে যখন প্রভু জগন্নাথ দেব মাসির বাড়ি ছেড়ে মন্দিরে যেতে চাননা, তখন মা লক্ষ্মী জমিদার কৃষ্ণচন্দ্র ও তার ভাই বৃন্দাবনচন্দ্রকে গিয়ে বলেন যে প্রভু আসতে চাইছেন না, তোমরা লেঠেল নিয়ে গিয়ে প্রভুর মাসির বাড়ির ভান্ডার লুঠ করে সমস্ত খাবার নিয়ে চলে আসো। সেই মত দুই জমিদার ভাই লেঠেল বাহিনী নিয়ে গিয়ে জগন্নাথ দেবার মাসির বাড়ির ভান্ডার লুঠ করেন। এরপর জগন্নাথ দেব যখন দেখেন তার মাসির বাড়িতে আর কোনো সুস্বাদু খাবার নেই, তখন সব শেষে উল্টো রথে প্রভু নিজের মন্দিরে ফিরে আসেন। আর সেই প্রথা মেনেই এখনও চলে আসছে গুপ্তিপাড়ায় জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ির ভান্ডার লুঠ উৎসব। আর এই উৎসব উপলক্ষে গুপ্তিপাড়ায় জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়িতে ভিড় জমান কয়েক লক্ষ ভক্ত। আর এই উৎসবের জন্য মোতায়েন থাকে প্রচুর পুলিশ বাহিনী।

আরও পড়ুন- দূষণ রুখতে এবার ব্যাটারি চালিত ভেসেল কিনতে চলেছে রাজ্য