গো.মাংস নিয়ে যাওয়ার ‘শা.স্তি’! মহারাষ্ট্রে ম.র্মান্তিক পরিণতি যুবকের

0
3

গাড়িতে করে গোরুর মাংস (Beef) নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ। এবার এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে মারল উত্তেজিত জনতা। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) নাসিকে (Nashik)। যদিও ঘটনায় অভিযুক্তদের এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি মহারাষ্ট্র পুলিশ (Maharashtra Police)। ঘটনায় গুরুতর জখম আরও এক ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এমনই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে শনিবার। যদিও বিষয়টি সোমবার প্রকাশ্যে আসে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ জুন গাড়ি নিয়ে মুম্বই যাচ্ছিলেন নাসির শেখ এবং আফান আব্দুল মজিদ আনসারি নামে দুই ব্যক্তি। এদিন তাঁদের গাড়ি সিন্নর ঘোটি হাইওয়ে দিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন ব্যক্তি প্রথমে রাস্তা আটকে দাঁড়ায়। এরপর গাড়িটিতে তল্লাশি চালায় তারা। দলটিতে মোট ১৫ জন সদস্য ছিল বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। এরপরই তল্লাশির সময় গাড়ি থেকে গোরুর মাংস উদ্ধার করা হয় বলে অভিযোগ। পরে উত্তেজিত জনতা লোহার রড এবং লাঠি দিয়ে নাসির এবং আব্দুলকে বেধড়ক মারধর করে। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশের একটি দল। অন্যদিকে, পুলিশকে আসতে দেখেই ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় উত্তেজিত জনতা। পরে গুরুতর জখম অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে দুই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।

পরে চিকিৎসা চলকালীন হাসপাতালেই মৃত্যু হয় আব্দুলের। জখম নাসির শেখ গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদিকে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি খতিয়ে দেখা হচ্ছে হাইওয়ের (Highway) সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ। তবে এই প্রথম নয়, গোমাংস নিয়ে যাওয়ার সন্দেহে আগেও গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। গত মার্চ মাসে বিহারের সারণ জেলায় গণপিটুনিতে ৫৬ বছরের এক প্রৌঢ়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল। এর আগে, ২০১৭ সালে ৫৫ বছরের দুধ ব্যবসায়ী পেহলু ও তাঁর দুই ছেলে জয়পুরের এক মেলা থেকে গরু কিনে হরিয়ানায় বাড়িতে ফিরছিলেন। জয়পুর-দিল্লি জাতীয় সড়কে তাঁদের আটকান গোরক্ষকেরা। অভিযোগ, বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁদের। হাসপাতালে তিন দিন পরে মারা যান পেহলু। ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় দেশে।