অসমে বন্যা পরিস্থিতির এখনও উন্নতি হয়নি।কিছু কিছু জায়গায় জলের স্তর নামতে শুরু করেছে, কিন্তু বহু গ্রাম এখনও জলের নীচে।বন্যায় এখনও পর্যন্ত অসমে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে,অসমে বন্যার কারণে চার লক্ষের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের বন্যার প্রথম পর্যায়ে এখনও উদ্দার কাজ চলছে।এখনও পর্যন্ত অসমের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বক্সা, বারপেটা, ডারাং, ধুবড়ি, গোয়ালপাড়া, কামরূপ, লখিমপুর, নলবাড়ি এবং উড়ালগুড়ি জেলা। এই জেলাগুলিতে ৪ লক্ষ ৭ হাজার ৭০০ জন বন্যা কবলিত।
প্রশাসনিক আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, রবিবার কিছু কিছু এলাকায় জলের স্তর নামতে শুরু করেছে। প্রশাসনের তরফে ১০১টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। বন্যাবিধ্বস্ত এলাকা থেকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অন্তত ৮১ হাজার ৩৫২ জনকে।
পরিসংখ্যান বলছে, অসমের মোট ১ হাজার ১১৮টি গ্রাম বন্যার জলে ভেসে গিয়েছে। এই মুহূর্তে গ্রামগুলি জলের নীচে। ৮ হাজার ৪৬৯ হেক্টর চাষের জমি বন্যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নষ্ট হয়েছে অনেক ফসলও।
অসমের করিমগঞ্জ এলাকায় গত কয়েক দিনে ভারী বৃষ্টির কারণে ধস নেমেছে। ডারাং, শোণিতপুর, গোলাঘাট, কামরূপ, নলবাড়ি, কোকরাঝাড়ে বন্যার জলে ভেসে গিয়েছে রাস্তাঘাট, সেতু। যার জেরে যোগাযোগ এবং পরিবহণ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত। তেজপুর এবং নিয়ামতিঘাট এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদীর জল এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে।
একই সঙ্গে নেমাটিঘাট এবং ধুবুড়ি এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের জল বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। এর ফলে সেখানে বিভিন্ন নদীবাঁধ, রাস্তা, সেতুর ক্ষতি হয়েছে। তবে, কামাখ্যায় কোন সমস্যা হয়নি বলে জানানো হয়েছে।এরই সঙ্গে নলবাড়ি এলাকায় এখনও প্রায় ৭৮ হাজার জন এবং লখিমপুর জেলায় প্রায় ২৬ হাজার জন বন্যার কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত।
জানা গিয়েছে, বঙ্গাইগাঁও এবং ডিমা হাসাও এলাকায় একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। যোরহাট, কামরূপ মেট্রোপলিটন, কোকরাঝাড় সহ বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়েছে। আগামী দুদিন অসমে আরও বৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।







































































































































