প্রজ্ঞাদীপার দেহ কী করে উঁচুতে পৌঁছল,সুইসাইড নোটে কার কথা লিখেছিলেন তিনি ?

0
3

ব্যারাকপুরের সেনা ছাউনির ম্যান্ডেলা হাউসে লেফটেন্যান্ট কর্নেল, চিকিৎসক কৌশিক সর্বাধিকারীর ফ্ল্যাট থেকে গত সোমবার রাতে উদ্ধার হয় চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপা হালদারের ঝুলন্ত দেহ। কী করে উঁচু ছাদের কড়িবরগা থেকে প্রজ্ঞাদীপা শাড়ির ফাঁস লাগিয়েছিলেন, বিছানার উপরে তাঁর পা মুড়ে থাকা দেহই বা কীভাবে পড়েছিল… এসব নানান প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ।

আরও পড়ুন:স.ন্দেহের বশে বিষ্ণুপুরে জোড়া খু.ন! উধাও অভি.যুক্ত প্রাক্তন

ইতিমধ্যেই ওই রহস্যমৃত্যুর তদন্তে নেমে প্রজ্ঞাদীপার স্বামীর ফ্ল্যাটের ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হয়েছে।যে ঘরে প্রজ্ঞাদীপার দেহ মিলেছিল, এদিন দুপুরে সেই ঘরের মেঝে থেকে শুরু করে বালিশ সমস্ত জিনিস খুঁটিয়ে পরীক্ষার পাশাপাশি নমুনা সংগ্রহ করে তিন সদস্যের ফরেন্সিক দল। মৃতার ভিসেরা পরীক্ষার জন্য ইতিমধ্যেই তা বেলগাছিয়ার ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে এবিষয়ে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পদস্থ আধিকারিকেরা জিজ্ঞাসাবাদ করেন প্রজ্ঞাদীপার সঙ্গী কৌশিককে। তাঁর দাবি, ঘটনার সময়ে তিনি ওই ফ্ল্যাটে ছিলেন না ।এমনকি মারধরের ঘটনাও অস্বীকার করেছেন কৌশিক বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্টে প্রজ্ঞাদীপার কপাল থেকে ঊরু পর্যন্ত শরীরের নানা অংশে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে।সবমিলিয়ে ধন্দে পড়েছেন তদন্তকারীরা।বহু প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না তাঁরা। জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে কৌশিকের উত্তরের সঙ্গে প্রজ্ঞাদীপার দেহ উদ্ধার এবং সুইসাইড নোটের কোনও মিল খুঁজে পাচ্ছেন না তদন্তকারীরা বলে জানিয়েছেন সরকারি পক্ষের আইনজীবী।

বারাসত-১ ব্লকের ছোট জাগুলিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক হিসাবে কর্মরত ছিলেন প্রজ্ঞাদীপা। শনিবার সেখানে খোঁজ করে জানা যায়, গত সোমবার তিনি কর্মস্থলে যাননি। মাঝেমধ্যেই ছুটি নিতেন। প্রজ্ঞাদীপার এক বন্ধু অদিতি বসু রায় জানান, ঘটনার কিছু দিন আগেও কৌশিককে সঙ্গে নিয়ে প্রজ্ঞাদীপা তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন। একসঙ্গে সিনেমা দেখেছেন। গত সোমবার দুপুরে তিনি ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপ করলেও উত্তর দেননি প্রজ্ঞাদীপা। মেসেজও দেখেননি। তখনই কিছু ঘটে গিয়েছিল কি না, প্রশ্ন অদিতির।