রবিবাসরীয় দুপুরে হাওড়া স্টেশনে (Howrah Station Area)পৌঁছে কলকাতার দিকে এগোতে গিয়ে চরম সমস্যায় পড়লেন সাধারণ মানুষ। ঘড়ির কাঁটা ১টা পেরিয়ে গেছে কিন্তু হাওড়া ব্রিজে (Howrah Bridge)গাড়ি চলাচলের কোনও লক্ষণ নেই। সারি সারি বাস স্টেশন চত্বরে আটকে রয়েছে। যাত্রীদের চোখে মুখে বিরক্তি স্পষ্ট। কেউ বাচ্চাকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছেন, কেউ এমারজেন্সি ডিউটিতে যেতে গিয়ে আটকে পড়েছেন, কেউ যাচ্ছিলেন ব্যবসার কাজে, কেউ বর্ষার কলকাতা উপভোগ করতে এসেছেন। কিন্তু এসবের মানে কী? এতক্ষণ ধরে রবীন্দ্র সেতুতে (Rabindra Setu)গাড়ি কেন আটকে? কারণ আজব এক দাবি নিয়ে কলকাতার রাস্তায় মিছিল করছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের (Sangrami Joutha Mancha) সদস্যরা। কী দাবি? পঞ্চায়েতে ভোটে প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) নিরাপত্তা দিতে হবে এবং ৫ দফায় ভোট করানোর দাবিতেই মূলত এই মিছিল, যা সাধারণ মানুষকে সমস্যায় ফেলেছে। একই ছবি শিয়ালদহ স্টেশন (Sealdah Station Area)চত্বর সংলগ্ন রাস্তারও। মহা মিছিলের নামে রাস্তা আটকে মানুষকে সমস্যায় ফেলেছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ ডিএ (DA)সংক্রান্ত দাবিদাওয়া নিয়ে বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই অবস্থান আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে । আজ তা ১৫০ দিনে পা দিল। বারবার রাজ্য সরকার (Government of West Bengal)কথা বলে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করলেও বিক্ষোভকারীরা নিজেদের দাবিতে অনড়। এবার সেখানে জুড়েছে আরও এক আজব দাবি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নিরাপত্তা দেওয়ার দাবি তুলে খবরে ভেসে থাকার চেষ্টা করছেন তাঁরা। আবার পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না দিলে DCRC কেন্দ্র থেকে তাঁরা বাড়ি ফিরে যাবেন, বুথে আর যাবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বিরোধীদের দাবি মেনে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (West Bengal State Election Commission)৮২২ কোম্পানি বাহিনী চেয়ে পাঠিয়েছে। রাজ্যে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতেও শুরু হয়েছে, রুট মার্চ চলছে। আর সেখানে দাঁড়িয়ে নিজেদের মতো করে দাবি তুলে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে বিঘ্নিত করার চেষ্টা যেমন চলছে তেমনই এই কর্মচারীরা যে আসলে মানুষের কথা ভাবেন না সেই ছবি স্পষ্ট হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে কলকাতার অন্যতম ব্যস্ত জায়গা ধর্মতলা (Esplanade) চত্বরে পৌঁছে গেছে মিছিল। এমনকি রাস্তায় শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখিয়ে মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে চলেছেন তাঁরা। বিগত কিছুদিন ধরে পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত খবর শিরোনামে উঠে এসেছে। সেখানে লাইম লাইট পাচ্ছেন না সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। তাই কী করে খবরে থাকতে হয় সেই ভাবনা থেকেই সাধারণ মানুষকে সমস্যায় ফেলে রাস্তা আটকে এইভাবে মিছিল করে সরকারকে বদনাম করার চেষ্টা করছেন তাঁরা, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।