রবিবার ভোরে বাঁকুড়ার ওন্দা স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে দুটি মালগাড়ি। লুপ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িকে পিছন দিক থেকে এসে সজোরে ধাক্কা মেরেছে অন্য একটি মালগাড়ি। দুমড়ে-মুচড়ে যায় একাধিক বগি। দুর্ঘটনার ফলে দুই মালগাড়ির মোট ১৩টি ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়। দুর্ঘটনার জেরে আদ্রা-খড়গপুর শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। ঘটনার পরই ছুটে আসেন রেলের শীর্ষকর্তারা। পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করতে আসরে নেমে পড়েন রেলের কর্মীরা। প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর ওই লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হয়ে যায়। তবে স্বস্তির কথা একটাই মালগাড়ি বলে এ যাত্রায় সেভাবে কোনও প্রাণহানি হয়নি, তবে রেলের বিপুল টাকার সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে। তবে এই দুর্ঘটনায় উঠেছে গাফিলতির অভিযোগ। ঘটনার কয়েক ঘন্টার পর গাফিলতির অভিযোগে চারজন কর্মীকে সাসপেন্ড করেছে রেল। ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্ত শুরু হয়েছে।

প্রসঙ্গত রবিবারের বাঁকুড়ার দুর্ঘটনায় কয়েক সপ্তাহ আগে ওড়িশার বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনার স্মৃতি ফিরিয়ে দিয়েছে।গত ২ জুন হাওড়ার শালিমার থেকে চেন্নাইয়ের দিকে যাওয়া করমণ্ডল এক্সপ্রেস বালেশ্বরের বাহানগা বাজার স্টেশনের কাছে লাইনচ্যুত হয়। ওই সময় একসঙ্গে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছিল বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস এবং একটি মালগাড়িও। করমণ্ডল এক্সপ্রেস লুপ লাইনে ঢুকে পড়েছিল। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িতে প্রচণ্ড গতিতে আসা ট্রেনটিকে সজোরে ধাক্কা মারে। করমণ্ডলের ইঞ্জিন উঠে যায় মালগাড়ির উপরে। উল্টো দিক থেকে আসা বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের কয়েকটি বগিও লাইনচ্যুত হয়। এই দুর্ঘটনায় ২৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা হাজারেরও বেশি।
আরও পড়ুন- যন্ত্রণা থেকে মুক্তি! ২৩ বছরেই স্বেচ্ছামৃ.ত্যু বেছে নিলেন তরুণী








































































































































