কয়েক সপ্তাহ আগে বালেশ্বরের মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনার পরও শিক্ষা নেই রেলের। করমণ্ডলের স্মৃতি উসকে বাঁকুড়ায় দুই মালগাড়ির সংঘর্ষ। দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িতে সজোরে ধাক্কা দিল অন্য একটি চলন্ত মালগাড়ি। এই সংঘর্ষের ফলে চলন্ত মালগাড়িটির ইঞ্জিন উঠে যায় দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িটির উপর। এর জেরে মালগাড়ির এক চালক আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুনঃবঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল হাওয়া অফিস
রবিবার সকালে বাঁকুড়ার ওন্দা স্টেশনের লুপ লাইনে বিষ্ণুপুরের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে ছিল একটি মালগাড়ি। বাঁকুড়া থেকে বিষ্ণুপুরের দিকে যাওয়া অন্য একটি মালগাড়ি সেই লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে। দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়ির পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে চলন্ত গাড়িটি। মালগাড়ির গতি বেশি থাকায় তার ইঞ্জিন অপর মালগাড়ির উপরে উঠে পড়ে। দুমড়ে মুচড়ে যায় একাধিক বগি। এর জেরে দুই মালগাড়ির মোট ১২টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে।
রবিবার ভোরবেলা এই দুর্ঘটনার জেরে বিকট শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। দুর্ঘটনাস্থলে ভিড় জমান তাঁরা। স্থানীয়রাই চলন্ত মালগাড়ির ভিতরে আটকে পড়া লোকো পাইলটদের উদ্ধার করেন।
দুর্ঘটনার জেরে ছিঁড়ে গিয়েছে ওভারহেড তার। ব্যাহত আদ্রা-খড়্গপুর শাখায় ট্রেন চলাচল ।
উল্লেখ্য, গত ২ জুন হাওড়ার শালিমার থেকে চেন্নাইয়ের দিকে যাওয়া করমণ্ডল এক্সপ্রেস বালেশ্বরের বাহানগা বাজার স্টেশনের কাছে লাইনচ্যুত হয়। ওই সময় একসঙ্গে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছিল বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস এবং একটি মালগাড়িও। করমণ্ডল এক্সপ্রেস লুপ লাইনে ঢুকে পড়েছিল। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িয়ে প্রচণ্ড গতিতে আসা ট্রেনটি সজোরে ধাক্কা মারে। করমণ্ডলের ইঞ্জিন উঠে যায় মালগাড়ির উপরে। ট্রেনের কামরাগুলি লাইনচ্যুত হয়ে পাশের লাইনে ছিটকে যায়। সেই লাইন দিয়ে আসা বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের কয়েকটি বগিও লাইনচ্যুত হয়।দুর্ঘটনায় মোট ২৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হন হাজারেরও বেশি মানুষ।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.