ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ আবহে পুতিনকে শেষ করার ‘হু*মকি’ ওয়াগনার বাহিনীর

0
2

রাশিয়ায় ‘সেনা অভ্যুত্থান’। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে চ্যালেঞ্জ ক্রেমলিন ঘনিষ্ঠ ওয়াগনার গোষ্ঠীর প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের।এই ওয়াগনার বাহিনী রাশিয়ার হয়ে বিভিন্ন দেশে ‘যুদ্ধ’ করে থাকে। ইউক্রেন যুদ্ধেও বড় ভূমিকা পালন করছে এই বেসরকারি সামরিক বাহিনী। তারা মূলত ভাড়াটে সৈনিক। সেই বাহিনীরই প্রধান ইয়েভজেনি পুতিনের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।একদা পুতিন ঘনিষ্ঠ ইয়েভজেনির বিরুদ্ধে ক্রেমলিন তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন:রাশিয়া-ইউক্রেন যু.দ্ধের আবহে ফের বি.স্ফোরক ভ্লাদিমির পুতিন

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শনিবার মস্কোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন ভাড়াটে ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ও সেনাকর্তাদের হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, “দেশের বর্তমান সেনা কর্তাদের গদিচ্যুত না করা পর্যন্ত আমরা থামব না। আমাদের পথে যে আসবে ধ্বংস হয়ে যাবে।” তিনি আরও অভিযোগ করেন,ওয়াগনার বাহিনীর ওপর হামলা চালাচ্ছে রুশ সেনা। এর বলি হচ্ছে সাধারণ মানুষ। তিনি বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগেই রুশ সেনার একটি হেলিকপ্টার সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালাতে শুরু করেছিল। আমরা সেই হেলিকপ্টারটিকে ধ্বংস করেছি।’ এক অডিও বার্তায় তিনি জানান, ইতিমধ্যে দক্ষিণ রাশিয়ার রুস্তভে ওয়াগনার ঢুকে পড়েছে। মস্কোর দিকে এগিয়ে যাবে তারা।

ওয়াগনার আতঙ্কে রুশ কর্তাদের মধ্যে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। একাধিক শহরের নিরাপত্তা বাড়িয়ে তোলা হয়েছে। রাজধানী মস্কোর দক্ষিণে অবস্থিত লিপেৎস্ক প্রদেশের গভর্নর ইগর আর্তামোনোভ বলেন, “এখানে নিরাপত্তা আরও বাড়িয়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” রুস্তভের বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে না বেরনোর নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন বলে খবর।
উল্লেখ্য, এই গোটা পরিস্থিতির নেপথ্যে রয়েছে একটি মিসাইল হামলা। ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান অভিযোগ করেন, তাঁর সৈনিকদের ক্যাম্পের ওপর ভয়াবহ মিসাইল হামলা চালায় রুশ সেনা। এতে তাঁর অনেক সৈনিক মারা যায়। এই আবহে তিনি বলেন, ‘ওয়াগনার গোষ্ঠীর কমান্ডারদের কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এই দেশের শয়তান সামরিক নেতৃত্বকে খতম করা হবে। আমরা প্রায় ২৫ হাজার জন রয়েছি। এই বিশৃঙ্খলায় ইতি টানতে হবে আমাদের। এটা কোনও সামরিক অভ্যুত্থান নয়। এটা ন্যায়ের মিছিল।’ যদিও মিসাইল হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী।