এমন ঘটনা যে বাস্তবে ঘটতে পারে, তা কল্পনারও অতীত! অস্বাভাবিক ধরণের পেট ফোলা থাকায় পাড়ায় পরিচিত ছিলেন প্রেগন্যান্ট ম্যান হিসেবে। কিন্তু সেই ডাকই যে এমন সত্যি হয়ে যাবে, তা স্বপ্নেও হয়ত ভাবতে পারেন নি মহারাষ্ট্রের নাগপুরের বাসিন্দা সঞ্জু ভগৎ!

মহারাষ্ট্রের নাগপুরের বাসিন্দা সঞ্জু ভগৎ। বয়স এখন ৬০ বছর। প্রায় ৩৬ ধরে বিশাল পেট নিয়ে চলাফেরা করেছেন তিনি। দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালানো ভগৎ শারীরিক সমস্যাকে প্রাথমিকভাবে তেমন গুরুত্ব দেননি। কিন্তু দিন দিন পেট এমন ফুলতে শুরু করে যে শ্বাস নেওয়াই অসম্ভব হয়ে যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত হাসপাতালের দ্বারস্থ হতে হয় তাঁকে। তাই আর দেরি না করে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে ছুটে যান তিনি। ক্যানসারের টিউমার ভেবেই শুরু হয় পরীক্ষানিরীক্ষা। অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সেই মতোই চিকিৎসা শুরু হয়েছিল তার। কিন্তু অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে থাকে। অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন তারা। কিন্তু অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে হতবাক হয়ে যান চিকিৎসকরা। দেখা যায়, যেটাকে তারা টিউমার বলে ভেবেছিলেন, সেটা আসলে আস্ত মানব ভ্রুণ। তার হাত-পা তৈরি হলেও বাকি গঠন সম্পূর্ণ হয়নি।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারের সময় প্রাথমিকভাবে ভ্রূণটির একটি হাত বেরিয়ে আসে। পরে আরও একটি হাত বেরিয়ে আসে। এরপর আস্তে আস্তে যৌনাঙ্গের কিছু অংশ, চুল, পা ও চোয়ালের হাড়গোড় বেরিয়ে আসতে থাকে। তারা বলেন, আমরা এই ঘটনায় ভীষণ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম এবং বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। তারা জানিয়েছেন, এই ধরণের ঘটনা খুবই বিরল যেখানে মায়ের গর্ভে একটি ভ্রূণের ভিতরে আরও একটি ভ্রূণ জন্ম নেয়।। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এই ধরণের পরিস্থিতিকে বলা হয় ‘ফিটাস ইন ফিটু’। তবে অস্ত্রোপচারের পর থেকে সুস্থ আছেন ভগৎ।

আরও পড়ুন- বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল হাওয়া অফিস









































































































































