প্রেসিডেন্সিতে প্রেম করা বারণ! আঙুলে আঙুল রাখলেই ‘গার্জেন কল’

0
3

ক্যাম্পাসে নাকি প্রেমে পড়া বারণ! চোখে চোখ রেখে কলেজ ক্যান্টিন হোক বা ইউনিয়ন রুম, কলেজ ক্যাম্পাসে হোক বা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর পড়ুয়াদের নিভৃতে সময় কাটানো , একে অপরের হাত ধরে প্রতিশ্রুতিবদ্ধের ছবি নতুন নয়। তবে মুক্তভাবনার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন প্রেমের ছবি দেখলেই চলছে ধরপাকড়।’কাউন্সিলিং’ এ কাজ না হলে করা হচ্ছে ‘গার্জেন কল’ও। ক্যাম্পাসের এই নীতি-পুলিশগিরির অভিযোগ করছেন পড়ুয়াদের একাংশই। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুনঃবিজেপির অগ্রাধিকার অনুযায়ী কাজ করবে পুলিশ! হিমন্তের মন্তব্যে সরব তৃণমূল

প্রেসিডেন্সির পরিবেশ বরাবরই এই ধরনের সঙ্কীর্ণতার ঊর্ধ্বে বলে সকলে জানেন। কিন্তু ক্যাম্পাস চত্বরে পড়ুয়াদের প্রেম করতে দেখলেই রণচণ্ডী মূর্তি ধারণ করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেমে লাগাম পড়াতে চাইছে তারা। পাবলিক প্লেসে অর্থাৎ প্রকাশ্যে ঠিক কতখানি মেলামেশা করা যাবে, তার মাপকাঠি ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার এমন অভিযোগ-সহ অন্য কয়েকটি বিষয় নিয়ে ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দেওয়া হয় ডিন অব স্টুডেন্টস অরুণ মাইতিকে। এসএফআইয়ের তরফে অভিযোগ, বেশ কিছু দিন ধরেই ক্যাম্পাসে পড়ুয়ারা কোথাও বসে প্রেম করলে কর্তৃপক্ষ তাঁদের ধরছেন। শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির কাছে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এমনকি, অভিভাবকদেরও ডেকে এনে সব জানানো হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজও অভিভাবকদের দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এহেন আচরণ সমর্থনযোগ্য নয় বলেও দাবি জানান পড়ুয়াদের একাংশ।

নীতি-পুলিশগিরির অভিযোগ প্রসঙ্গে ডিন অব স্টুডেন্টস এ দিন জানান, পড়ুয়াদের সঙ্গে কখনওই নীতি-পুলিশগিরি করা হয় না। সেটা তাঁদের উদ্দেশ্যও নয়। তিনি বলেন, “খুবই ব্যক্তিগত কোনও বিষয় যখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সর্বসমক্ষে আসছে, তখন সে বিষয়ে সচেতনতার জন্য সংশ্লিষ্ট পড়ুয়া ও অভিভাবকদের নিয়ে কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”