মোহনবাগানে সই করলেন অনিরুধ থাপা। ৫ বছরের চুক্তিতে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টসে সই করলেন বছর ২৫-এর অনিরুধ। চেন্নাইয়ান এফসি দলের অন্যতম স্তম্ভ ছিলেন অনিরুধ থাপা। এতদিন দাপিয়ে খেলেছেন চেন্নাইয়ানের হয়ে। আর এবার মোহনবাগানের হয়ে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দিতে মরিয়া অনিরুধ। ডার্বি ম্যাচে তাকিয়ে তিনি।
এদিন মোহনবাগানে যোগ দিয়ে অনিরুধ বলেন, “গতবারের চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগানের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়ে আমি সত্যি খুশি। ভারতীয় ফুটবলে সবুজ মেরুণ জার্সির ঐতিহ্য এবং প্রভাব অপরিসীম। সেই জার্সি পরে খেলতে নামব ভেবে রোমাঞ্চিত হচ্ছি। আশা করছি নিজের সেরাটা দিয়ে সদস্য-সমর্থকদের খুশি করতে পারব।কলকাতা ভারতীয় ফুটবলের হাব। সেখানে খেলার স্বপ্ন এবার পূরণ হবে। যেদিন থেকে ফুটবল খেলা শুরু করেছি সেদিন থেকেই শুনতাম ডার্বির কথা। আমি যখন ছোটবেলায় পৈলান অ্যারোজে খেলতাম বা কল্যাণীর অ্যাকাডেমিতে অনুশীলন করতাম জাতীয় বয়সভিত্তিক দলের হয়ে, তখন ডার্বি থাকলেই যুবভারতীতে চলে আসতাম খেলা দেখতে। গ্যালারিতে বসে দেখতাম মোহনবাগান সদস্য-সমর্থকদের আবেগ। সবাই বলত ডার্বি খেলতে হলে তারকা হতে হয়। সেই স্বপ্ন আমার এবার পূরণ হবে। বিশ্বাস করুন ভাবতেই পারছি না সেই হাজার, হাজার সমর্থকদের সামনে আমি মাঠে নামব। সবুজ মেরুণ পতাকা, ব্যানার আর আবির নিয়ে ওরা আসবেন আমাকে এবং আমাদের দলকে সমর্থন করতে।”
এরপাশাপাশি অনিরুধ আরও বলেন, “ডার্বি যেমন জিততেই হবে, তেমনই আরও দুটো লক্ষ্য রয়েছে আমার। যেহেতু গতবার মোহনবাগান আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তাই সেই ধারাটা ধরে রাখতে হবে। মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস এবার আরও শক্তিশালী হচ্ছে। দেশ-বিদেশের সেরা ফুটবলার সই করাচ্ছে। ফলে আমি মনে করি আবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ক্ষমতা নিয়ে নামব আমরা। পাশাপাসি এবার এএফসি কাপে খেলার সুযোগ এসেছে আমাদের সামনে। দেশের জার্সিতে তো আন্তর্জাতিক ম্যাচে জয়ের স্বাদ পেয়েছি অনেকবার। এবার সবুজ মেরুণ জার্সিতে আন্তর্জাতিক ম্যাচ জেতার চ্যালেঞ্জ। এএফসি কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া কঠিন। অনেকগুলো ধাপ পেরোতে হয়। তবুও আমি মনে করি এশিয়া বা আন্তর্জাতিক মঞ্চে ক্লাবকে একটা সম্মানজনক জায়গায় নিয়ে যাওয়াটা আমাদের চ্যালেঞ্জ হিসাবে নেওয়া দরকার।”
কোচ জুয়ান ফেরান্দোর কোচিং নিয়ে থাপা বলেন, “কোচ জুয়ান ফেরান্দোর খেলানোর স্টাইলটা আমি জানি। উনি বল ধরে খেলতে বলেন। আক্রমণাত্মক ফুটবল পছন্দ করেন। আবার বলছি, এবারের মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস তারকা সমৃদ্ধ টিম। দলের বেশিরভাগ ফুটবলারই ফেরান্দোর স্টাইলটা জানে। আমাকে সেটা রপ্ত করতে হবে আগে। কোচের স্ট্র্যাটেজির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিজের জায়গাটা পাকা করতে হবে। আমি আশাবাদী আমার স্বপ্নের জার্সিতে খেলতে নেমে আমি সাফল্য পাবই।”
আরও পড়ুন:দলবদলে বিরাট চমক মোহনবাগানের, পাঁচ বছরের চুক্তিতে বাগানে অনিরুধ