‘ভারত তো.ড়োর’ খেলায় মেতেছে BJP-RSS! পাটনায় পৌঁছে মোদি সরকারকে উৎখাতের ডাক রাহুলের

0
1

২০২৪-র লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election) আগে একজোট হওয়ার লক্ষ্যে বিজেপি বিরোধী দলগুলি বৈঠকে বসেছে পাটনায় (Patna)। ইতিমধ্যে একাধিক দলের নেতা নেত্রীরা ইতিমধ্যে পৌঁছে গিয়েছেন পাটনায় নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) বাসভবনে। আর জোটের বৈঠকের আগেই বিরোধী বৈঠকে যোগ দেওয়ার লক্ষ্যে পাটনায় উপস্থিত হয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) এবং মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge)। আর এদিন বৈঠকের আগে পাটনায় দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা দেন রাহুল। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে রাহুল বলেন, কংগ্রেস তেলেঙ্গানা, রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশেও নির্বাচন জিতবে। এরপরই কর্ণাটকের উদাহরণ টেনে রাহুল মনে করিয়ে দেন, কর্ণাটকের ক্ষেত্রে দেখেছেন কী হয়েছে। বিজেপি নেতারা রাজ্য জুড়ে ঘুরেছেন। দীর্ঘ বক্তৃতায় বারবার দাবি করেছেন বিজেপি নির্বাচন জিতবে। কিন্তু সবাই দেখেছেন ফলাফল। রাহুলের দাবি কর্ণাটকের মতোই তেলেঙ্গনা, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশেও বিজেপি জিতবে না।

কিন্তু কেন কংগ্রেস (Congress) কেন জয়লাভ করবে ওই রাজ্যগুলিতে? সোনিয়া তনয়ের মতে, কংগ্রেস সবসময় দেশের দরিদ্রদের পাশে দাঁড়িয়েছে। দেশের মানুষ বুঝতে পারছে বিজেপি (BJP) মানেই দু-তিন জনের উন্নতি। কিন্তু কংগ্রেস মানেই দরিদ্র মানুষের উন্নয়ন। তবে এদিন পাটনায় পৌঁছেই কংগ্রেস সমর্থকদের সামনে বিজেপি সরকারকে উৎখাতের ডাক দেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এদিন দলের কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশে ভাষণ দিতে উঠেই রাহুল বলেন, কী! আজ আপনাদের মনের অবস্থা কেমন আছে? রাহুল বলেন, আপনারা জানেন ভারতে এখন আদর্শগত লড়াই চলছে। একদিকে কংগ্রেসের ভারত জোড়োর আদর্শ। অন্যদিকে, বিজেপি-আরএসএসের ভারত তোড়োর নীতি লড়াই চলছে। আর এই কারণেই আজ আমরা বিহারে এসেছি। রাহুল আরও বলেন, কংগ্রেস পার্টির যে ডিএনএ আছে, তা বিহারেই আছে। ভারত জোড়ো যাত্রার সময় দেখেছি, যেখানেই গিয়েছি, সেখানেই বিহারের মানুষ আমাদের সঙ্গে হেঁটেছেন। সে তামিলনাড়ু হোক কিংবা কর্নাটক। কারণ বিহারের মানুষ আদর্শ মেনে চলেন, আদর্শের জন্য লড়াইয়ে অভ্যস্ত।

তবে এদিন রাহুল মনে করিয়ে দেন বিজেপি ভারতকে টুকরো করার কাজ করছে। ঘৃণা ছড়ানোর কাজ করছে। হিংসা ছড়ানোর কাজ করছে। আর কংগ্রেস ভারত যাতে এক থাকে তার জন্য প্রাণপণ লড়ছে, মানুষের মনে ভালোবাসা ছড়ানোর কাজ করে যাচ্ছে। কংগ্রেস নেতা এদিন বারবার মনে করিয়ে দেন, ঘৃণাকে ঘৃণা দিয়ে মেটানো যায় না। ঘৃণার রাজনীতিকে কেবলমাত্র ভালোবাসা দিয়ে পরাজিত করা যায়। তাই আমরা ঘৃণার বিরুদ্ধে মানবপ্রেমের কথা বলে থাকি। আজ দেশের সব বিরোধী দল এখানে এসেছে। আমরা সকলে মিলে আজ বিজেপিকে হারাতে চলেছি। কর্নাটকে আপনারা দেখেছেন, বিজেপি খুব লম্বা-চওড়া ভাষণ দিয়েছে। রাজ্যের কোনা কোনা চষে ফেলেছে। কিন্তু পরিণাম কী হয়েছে তা তো আপনারা দেখেইছেন। এরপরই রাহুল মনে করিয়ে দেন, এই মঞ্চ থেকে আমি আপনাদের বলে যাচ্ছি, তেলেঙ্গনা, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশের ভোটে বিজেপির কোনও অস্তিত্ব থাকবে না। বিজেপি হারবে, কংগ্রেস জিতবে।