কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যায় খুশি নয়, হালে পানি না পেয়ে ফের আদালতে শুভেন্দু  

0
3

প্রথমে ২২ কোম্পানি চাইলেও কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো নির্ধারিত সময়েই আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে ৮০০ কোম্পানি আধাসেনা চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। সবমিলিয়ে এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে মোট ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে চলেছে। তবে প্রথম দফায় ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আজ, শুক্রবার একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা জানানো হয়েছে।

কিন্তু এই ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা নিয়ে খুশি নন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাই আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইতে যাতে আদালত রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চাপ দেয় সেজন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।আসলে বিজেপির পায়ের তলার জমি সরে গিয়েছে।বিজেপি বেশ বুঝতে পারছে পঞ্চায়েত ভোটে তাদের ভরাডুবি শুধু সময়ের অপেক্ষা। তাই যেনতেনপ্রকারণে আরও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি তাদের। যদিও আগের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলেও বিজেপির ভরাডুবি হয়েছিল।

জানা গিয়েছে, এই কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে সিআরপিএফ থাকবে ৫০ কোম্পানি, বিএসএফ থাকবে ৬০ কোম্পানি। ২০ কোম্পানি আইটিবিপি, ২৫ কোম্পানি এসএসবি , ২০ কোম্পানি আরপিএফ আসছে বাংলায়। আর ২০ কোম্পানি আরপিএফ, সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স মিলিয়ে থাকবে মোট ২০০ কোম্পানি। বাকি ১২টি রাজ্য থেকে স্পেশাল আর্মড পুলিশ ফোর্স থাকবে ১১৫ কোম্পানি বলে খবর।

অসম, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা থেকে ১০ কোম্পানি করে পুলিশ আসবে বাংলায়। উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশ থেকে ২০ কোম্পানি করে পুলিশ আসবে। আবার ত্রিপুরা, মিজোরাম, সিকিম, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয় এবং মহারাষ্ট্র থেকে ৫ কোম্পানি করে বাহিনী আসবে বলে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম নির্দেশ দিয়েছিলেন, ২০১৩ সালের থেকে কম বাহিনী মোতায়েন করা যাবে না। এই নির্দেশ দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্য নির্বাচন কমিশন আরও ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চায়। কিন্তু একদফা নির্বাচনে ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন বিরোধী দলনেতা। তাই আবার আদালতে যাচ্ছেন তিনি।