হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)। আর সেই নির্বাচনের আগেই এবার হাত ছেড়ে তৃণমূলে (TMC) যোগ দিলেন কংগ্রেসের (Congress) প্রার্থী সহ ৩০০ কর্মী সমর্থক। জানা গিয়েছে, দলের হয়ে টিকিট না পেয়েই মনোনয়ন প্রত্যাহার (Nomination) করে নেন কংগ্রেস প্রার্থী আক্তার শেখ। তবে শুধু তিনি একাই নন, কংগ্রেস প্রার্থীর সঙ্গে ১৪৫ পরিবার পলাশিপাড়ার সাহেবনগর পঞ্চায়েতের বড়নলদহ ১০ নং বুথে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। একইসঙ্গে এদিনই সিপিআইএম (CPIM) ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন আরও বেশ কয়েকটি পরিবার। প্রথম থেকেই তৃণমূল অভিযোগ জানিয়ে আসছিল, প্রার্থী দিতে না পেরে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যকে অশান্ত করার চেষ্টা বিরোধীদের। আর তৃণমূলের সেই অভিযোগ এদিন কার্যত সত্যি বলে প্রমানিত হল।
চলতি পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাহেবনগর পঞ্চায়েতের ১০ নম্বর বুথে কংগ্রেসের হয়ে মনোনয়নপত্র জমা করেন আক্তার শেখ। কিন্তু পরবর্তীতে তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। গত বছর ওই বুথে কংগ্রেসের হয়ে জিতিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মানুষের সহযোগিতা বা উন্নয়ন করতে পারেননি। আর সেকারণেই এবছর তিনি নিজে কংগ্রেসের টিকিট পেলেও তৃণমূলে যোগদান করেছেন। তবে শুধু তিনি একা নন, সেই সঙ্গে বেশ কিছু পরিবার নিয়ে আরিজুল শেখ সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন। তিনি ১১ নম্বর বুথের কর্মী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
আরিজুলের অভিযোগ, দলের মধ্যে মাতব্বরদের কথাই শেষ কথা। তাদের উপরে কথা বলার সাহস কারও নেই। আমাদের পরিবার সিপিএমের জন্মলগ্ন থেকে এই দল করে আসছে। তবে তারা সাধারণ মানুষের জন্য কিছুই করতে পারেনি। আর সেকারণেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের শরিক হতে এই দলবদলের সিদ্ধান্ত। তবে তেহট্ট ২ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি জানান, নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে জাতীয় কংগ্রেসের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে প্রায় ১৫০টি পরিবারকে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন আক্তার।