মাস ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)। আর সেই নির্বাচনকে সামনে রেখেই মনোনয়ন পর্ব (Nomination) থেকেই রাজ্য জুড়ে চলছে অশান্তি। প্রার্থী দিতে না পেরে বিরোধীরা রাজ্যের একের পর এক প্রান্তে অশান্তির চেষ্টায় ব্যস্ত। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (Governor CV Anand Bose) আগেই আলোচনার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে (State Election Commissioner) রাজভবনে (Rajbhawan) ডেকে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের একাধিক কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে যাননি তিনি। আর তারপরই বুধবার রাতে নজিরবিহীনভাবে কড়া পদক্ষেপ নেন রাজ্যপাল! যা নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত তুঙ্গে পৌঁছেছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের জয়েনিং রিপোর্ট ফেরত পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল। এদিন সেই প্রসঙ্গে কলকাতা বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান, ‘আমাদের কাছে এরকম কোনও তথ্য নেই। এই ধরনের ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। উনিই কমিশনারের নামে অনুমোদন দেন।’
তবে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস সাফ জানান, নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে। পাশাপাশি সন্দেহের ঊর্ধ্বে থাকতে হবে নির্বাচন কমিশনারকে। তবে এদিন আশ্চর্যজনকভাবে রাজীব সিনহার অপসারণ নিয়ে একেবারে মুখে কুলুপ আঁটেন রাজ্যপাল। সি ভি আনন্দ বোস বলেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের নিরপেক্ষ থাকা উচিত। আমি তাঁকে মন্ত্রীসভার অনুমোদন সাপেক্ষে নিয়োগ করেছিলাম। রাজ্যে সুষ্ঠু ভোটের জন্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ করা হয়েছিল। তবে এখানেই থেমে না থেকে রাজ্যপালের অভিযোগ, কমিশনের ভূমিকায় হতাশ রাজ্যের মানুষ। নির্বাচন কমিশনের উচিত রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। রাজ্য মন্ত্রিসভার অনুমোদনে রাজীব সিনহার নাম নির্বাচন কমিশনার হিসাবে সুপারিশ করা হয়েছিল। আমিই তাঁকে নিয়োগ করেছিলাম। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তিনি মানুষের আস্থা অর্জনের মতো কোনও সদর্থক ভূমিকা নেননি।
পাশাপাশি এদিন রাজ্যপাল আরও বলেন, মানুষের একফোঁটাও যদি রক্ত ঝরে তাহলে তার দায় কমিশনকেই নিতে হবে। কোনও কিছুর বিনিময়েই মানুষের রক্ত নিয়ে দরাদরি চলতে পারে না। শান্তি প্রতিষ্ঠা করতেই হবে। এটা কোনও প্রতিশ্রুতি নয়, এটা প্রতিজ্ঞা।