সুদূর সৌদি আরবে (Saudi Arabia) বসেই রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) প্রার্থী (Candidate) হওয়ার অভিযোগ উঠল বসিরহাটের মইনুদ্দিন গাজির (Moinuddin Gazi) বিরুদ্ধে। মিনাখাঁর কুমারজোলর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল (TMC) প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্র (Nomination) জমা দিয়েছেন তিনি। তবে সৌদি আরবে বসে কীভাবে বাংলার ভোটযুদ্ধে অংশ নিলেন তিনি, এমন অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের হয়েছে মইনুদ্দিনের বিরুদ্ধে। আর বৃহস্পতিবার মামলার শুনানিতে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha) প্রশ্ন করেন, প্রার্থীকে আইন মেনে সই করতে হবে। এরপরই বিচারপতি প্রশ্ন করেন প্রার্থী কোথায়? পাশাপাশি, কীভাবে এই মনোনয়ন জমা পড়ল, তা নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেন বিচারপতি সিনহা। শুক্রবার দুপুর দু’টোয় ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।
মিনাখাঁর কুমারজোলর গ্রাম পঞ্চায়েতে ইতিমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর মনোনয়ন জমা পড়েছে৷ তিনি সুদূর সৌদি আরব থেকেই মনোনয়ন জমা করেছেন বলে অভিযোগ৷ আর সেই অভিযোগ তুলে সিপিএমের তরফে মামলা দায়ের করার আবেদন করা হয় হাইকোর্টে৷ এরপরই জরুরি মামলার আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা৷ অভিযোগে বলা হয়, যেদিন নোটিফিকেশন বের হয় ঠিক তার আগেই মইনুদ্দিন গাজী দেশ ছেড়ে চলে যান। হজ কমিটি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে গত ৪ জুন সৌদি আরবে যান তিনি, ফিরবেন ১৬ জুলাই। আর সেকারণেই নমিনেশন পেপার সাবমিট করা তার পক্ষে কোনওভাবেই সম্ভব ছিল না। আর সেকারনেই এমন সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
এদিন রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহা মামলার শুনানিতে প্রশ্ন তোলেন, সইটা প্রার্থীর লাগে কী? কিছু প্রার্থী মনোনয়নের কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারছেন না। বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন। আর কিছু প্রার্থী না গিয়েই মনোনয়ন দাখিল করছেন! এরপরই বিচারপতি নির্দেশ দেন সই আইন অনুযায়ী করতে হবে প্রার্থীকে। প্রার্থী কোথায়? স্ক্রুটিনি দরকার কী? অফিসাররা কী করছেন? পাশাপাশি কবে অভিযুক্ত প্রার্থীর মনোনয়ন কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড হয়েছে তা দ্রুত কমিশনকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা৷ এছাড়াও অভিবাসন দফতরকে এদিন মামলায় পার্টি করার নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।