কমছে যাত্রীদের বেঁচে থাকার আশা, এখনও খোঁজ মেলেনি টাইটানের

0
2

আর ২৪ ঘণ্টাও বাকি নেই, ক্রমশ ক্ষীণ হচ্ছে টাইটান সাবমেরিনে (Titan Submarine) থাকা পাইলট সহ যাত্রীদের বেঁচে থাকার আশা।১৮ জুন নিখোঁজ হওয়ার পর মাত্র ৯৬ ঘণ্টার অক্সিজেন (O2)মজুত ছিল। ঘড়ির কাঁটা বলছে যাত্রীদের আর বোধহয় জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব নয়। শতাধিক বছর আগে আটলান্টিকে (Atlantic Ocean) সলিল সমাধি ঘটা ঐতিহাসিক টাইটানিক (Titanic) জাহাজের ভগ্নাবশেষ দেখতে গিয়ে এই বিপত্তি ।

২০২১ সাল থেকে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখানোর অভিযান চালু করেছে ওশানগেট (OceanGate) সংস্থা। মাথাপিছু আড়াই লক্ষ ডলারের বিনিময়ে গভীর সমুদ্রে নিয়ে গিয়ে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখিয়ে আনে ওই সংস্থা। রবিবারেও পাঁচ জনকে নিয়ে কানাডার উপকূলের নিউফাউন্ডল্যান্ডের (NewFoundland) কাছে আটলান্টিকের গভীরে নেমেছিল টাইটান। ব্যাস তারপর থেকেই নিখোঁজ। যাত্রা শুরুর ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত সব ঠিক ছিল কিন্তু তারপর কোনওভাবেই ডুবোজাহাজের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি। টাইটান ২১ ফুট লম্বা এবং এর ওজন ১০,৪৩২ কিলোগ্রাম দাবি সংস্থার। কিন্তু নৌ বাহিনীর বিশেষজ্ঞরা বলছেন ডুবোযানের যাত্রীদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা মাত্র ১ শতাংশ। উদ্ধারকারীরা অনুমান করছেন সমুদ্রের প্রায় ১২ হাজার ফুট নীচে অর্থাৎ সাড়ে তিন হাজার মিটারেরও নীচে আটকে রয়েছে সাবমেরিনটি। যত সময় যাচ্ছে কাজ তত কঠিন হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে যেকোনও মুহূর্তে টাইটানিক ফাটল ধরে ভেতরের জলের চাপ সৃষ্টি হবে। যা সমুদ্রের জলের চাপের থেকে ৪০০ গুণ বেশি। যতই এই তথ্য প্রকাশ্যে আসছে ততই অনিবার্য পরিণতির আশঙ্কা জোরালো হচ্ছে।