বজ্রা.ঘাতে জোড়া হাতির মৃ.ত্যু! ‘বিরল ঘটনা’ আখ্যা বনদফতরের 

0
2

বর্ষার আমেজ শুরু হতে না হতেই দুর্ঘটনার খবর। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস মতোই বাংলার বিভিন্ন জেলায় বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টিপাতের সূচনা হয়েছে। স্বস্তির বৃষ্টিতে বঙ্গবাসী খুশি হলেও অবলা প্রাণীদের বিপদ ক্রমশ বাড়ছে। ডুয়ার্সের নাগরাকাটা ব্লকের বামনডাঙ্গা চা বাগানে (At Bamondanga Tea Garden in Nagarakata Block, Duars)বজ্রা.ঘাতে জোড়া হাতির মৃ.ত্যু (Death of a pair of elephants struck by lightning!)! চাঞ্চল্যকর ঘটনাকে বিরল আখ্যা দিয়েছে বনদফতর (Forest Department)।

আজ বুধবার সকালে ডায়না নদী (Dayna River) সংলগ্ন চা বাগানের ১৪ নম্বর সেকশনে দুটি মৃত হাতিকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপরই তাঁরা বন দফতর ও স্থানীয় প্রশাসনকে খবর দেন। গত কয়েকদিন ধরেই বজ্রবিদ্যুৎ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস মিলেছিল। কিন্তু এভাবে জোড়া হাতির একই কারণে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে মৃত্যুর ঘটনা সাম্প্রতিককালে যথেষ্ট বিরল বলেই মনে করছেন বন দফতরের কর্মীরা। সূত্রের খবর নাথুয়া রেঞ্জের কর্মীরা গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। স্থানীয়রা বলছেন মঙ্গলবার রাতে জঙ্গল ও নদী লাগোয়া ওই এলাকায় হাতির একটি দল ডেরা গেড়েছিল।এদিকে বামনডাঙ্গা চা বাগানের ওই এলাকায় ঘনঘন বজ্রপাত হচ্ছিল গতকাল রাতে। এরপরই দুই হাতির মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা।বজ্রপাত প্রবণ এলাকা হিসেবেই ভুটান পাহাড় সংলগ্ন নাগরাকাটা ও বানারহাট ব্লকের এই এলাকাগুলি পরিচিত। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে বজ্রাঘাতের জেরেই হাতি দুটির মৃত্যু হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট নাইলে স্পষ্ট করে বলা সম্ভব নয়।

বন আধিকারিকেরা বলছেন, এর আগে ১২টি মোষ এবং ৩টি বাইসনের মৃত্যু হয় বজ্রাঘাতে। কিন্তু এভাবে জোড়া হাতির মৃত্যু ঘিরে রহস্য বাড়ছে।