শান্তিপূর্ণ ভাবে শেষ হয়েছে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্ব।কিন্তু অশান্তি ও হিংসার অভিযোগ শুধুই বাজার গরম করার জন্য। বিরোধীরা দায়িত্ব নিয়ে সেটা পালন করছেন। রবিবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এভাবেই বিরোধীদের অভিযোগের কড়া জবাব দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, বিরোধীরা লাশ খুঁজছে। অশান্তির ছবি খুঁজছে। কারণ, দিল্লিতে চিঠি লেখার জন্য এই ধরনের ছবি তাঁদের দরকার।
এরই পাশাপাশি, রাজভবনে অভিযোগ জানানোর কন্ট্রোল রুম খোলা প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, রাজ্যপাল রাজভবনে যে শান্তিরুম খুলেছেন তার কোনও এক্তিয়ার তাঁর নেই।তাঁর সাংবিধানিক পদকে আমরা শ্রদ্ধা করি।যখন নির্বাচন কমিশনের এক্তিয়ারে ভোটের প্রক্রিয়া চলছে, তখন মহামান্য রাজ্যপাল তৃণমূলের কেউ মারা গেলে তার বাড়ি যাবেন না। অথচ অন্য কোনও দল অভিযোগ করলে এই প্রবল গরমের মধ্যে কালো গলাবন্ধ কোট পরে উপস্থিত হবেন, এটা মেনে নেওয়া যায় না। আসলে তিনি নিজেকে সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি-আইএসএফ এর মিলিত ফ্রন্টের চেয়ারম্যান মনে করছেন।রাজ্যের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা নিয়ে রাজ্যপাল সত্যের অপলাপ করছেন বলে মন্তব্য করেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক।
এদিকে রবিবার সকালে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক টুইট করে প্রশ্ন তোলেন,”মাননীয় রাজ্যপাল কি নিজের পোশাক, স্যুট, রোদচশমা, জুতো সরকারি টাকায় কিনছেন?”
কুণালের বক্তব্য, এমনিতে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস সৌখিন মানুষ। জনসমক্ষে যখনই আসেন বেশ পরিপাটি হয়েই আসেন। দামি স্যুট, কেতাদুরস্ত রোদচশমা তাঁর নিত্যসঙ্গী। সম্প্রতি রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা কবলিত এলাকাগুলিতে পর্যবেক্ষণে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল, সেখানেও পোশাকের সেই পরিপাটিই চোখে পড়েছে। কুণাল ঘোষের অভিযোগ, নিজের এই সৌখিন পোশাক রাজ্যপাল কিনছেন সরকারি টাকায়।
যদি রাজ্যপাল সেটা করে থাকেন, তাহলে তা অনৈতিক। ওঁর উচিত নিজের পোশাক নিজের টাকায় কেনা। রাজভবনকে সরকারের তরফে যে টাকা দেওয়া হয়, সেটার উপযুক্ত অডিট হওয়া উচিত। এরই সঙ্গে তাঁর সংযোজন,”আমার অভিযোগ যদি ভুল হয়ে থাকে, তাহলে আমি ক্ষমা চাইতেও রাজি।” বস্তুত, রাজভবনের পরিচালনা বাবদ নির্দিষ্ট কিছু পরিমাণ অর্থ দিতে হয় রাজ্য সরকারকেই। সেই টাকা সরকারি কাজের জন্য ব্যবহার হওয়ার কথা।







































































































































