কোভি.ড কেড়ে নিয়েছে সারা বিশ্বের অনেক কিছু। কেড়ে নিয়েছে প্রিয় মানুষদের। তাই বলে কি কিছুই দেয়নি! দিয়েছে। দিয়েছে নতুন রাস্তা। দেখিয়েছে নতুনভাবে জীবন ধারণের পথ। খুলেছে নিজেকে মেলে ধরার অন্য রকম ডানা। সংস্কৃতি জগতের ক্ষেত্রে সেই ডানার নাম OTT প্ল্যাটফর্ম। শনিবার, ‘টিভি নাইন’-এর ‘ঘরের বায়োস্কোপ’ সম্মান প্রদান অনুষ্ঠানে এই কথাই তুলে ধরলেন কেন্দ্রীয় তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur)। ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh), সাংসদ শান্তনু সেন, দেব, সিপিআইএমের (CPIM) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, অগ্নিমিত্রা পাল, রুদ্রনীল ঘোষ, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, অবীর চট্টোপাধ্যায়, শাশ্বত চট্টোপাধ্যাপাধ্যায়, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়-অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়।
টেলিভিশন ও OTT-র আধুনিকীকরণ প্রাঞ্জলভাবে ব্যাখ্যা করেন অনুরাগ ঠাকুর। তাঁর কথায়, কোভিড কালে যখন সবাই গৃহবন্দি, তখন OTT প্ল্যাটফর্ম একটি দিগন্ত খুলে দেয়। আগেও ছিল টিভি বা ওটিটি ছিল। কিন্তু অতিমারিতে সব বাইরের সব বিনোদনের মাধ্যম বন্ধ। তখন আরও আপন হয়ে ওঠে টেলিভিশন ও OTT-র মতো মাধ্যমগুলি। আগে যেমন সিনেমা হল থেকে দর্শক টিভি-তে সরে আসেন। তেমন করোনার সময় এক ধাক্কায় অনেকটা উঠে আসে OTT প্ল্যাটফর্মগুলি। সেখানে দারুণ সব কাজ হচ্ছে।
এই বিনোদন জগত দেশ-জাতিকে মিলিয়ে দিচ্ছে। কথা প্রসঙ্গে অনুরাগ জানান, কয়েকদিন আগেই রাশিয়া থেকে একটি যুবদল আসে দিল্লিতে। তারা রুশ নয়, ‘ডিস্কো ডান্সারে’র “জিমি জিমি আ জা, আ জা”-র পারফর্ম করে। যেমন, “জিমি জিমি আ জা, আ জা”-র বিশ্বায়ন হয়েছে। তেমনই হয়েছে হালফিলের “নাট্টু নাট্টু”-র। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথায় উঠে আসে, বাংলার শিল্প-সংস্কৃতির ঐতিহ্যে। দক্ষিণ বা হিন্দির পাশাপাশি ভালো কাজ হচ্ছে বাংলাতেও। তিনি জানান, প্রথম সংস্কৃতির বিশ্বায়ন ঘটিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এরপর সিনেমা জগতের বিশ্বায়ন ঘটান সত্যজিৎ রায়। আজও সেই কাজ চলছে। অনুরাগ এদিন শিল্প -সংস্কৃতি জগতের নানা খুঁটিনাটি তুলে ধরেন। তবে, সিনেমা বা টিভি সেন্সারশিপের মতো ওটিটি-তেও কিছুটা ভারসাম্যের পক্ষে কেন্দ্রীয় তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী।
দেশের একটি নিউজ চ্যানেল কীভাবে বিশ্বের দরবারে পা রাখছে সেই কথা তুল ধরেন ‘টিভি নাইন’-র CEO বরুণ দাস। মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি জগতের সেরা কলাকুশলীদের সম্মান জানানো হয়। পুরস্কৃত হন ‘একেন বাবু’ অনির্বাণ চক্রবর্তী।