‘জয় শ্রীরাম’ না বলায় মুসলিম যুবককে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল যোগী রাজ্যে!জানা গিয়েছে, নিগৃহীত যুবকের বিরুদ্ধে প্রছমে মোবাইল চুরির অভিযোগ আনা হয়। এরপর নৃশংস অত্যাচার চালায় দুষ্কৃতীরা।এলোপাথাড়ি চড়-ঘুষি-লাথি।সেই অত্যাচারের ঘটনা ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়। সেই ভিডিও মূহূর্তে ভাইরাল হয়। নিগৃহীতের পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করে।সেই অভিযোগের পরেও নিষ্ক্রিয় ছিল পুলিশ।অভিযোগ, পুলিশ উল্টে হেনস্তা করে ওই যুবককে। দিন দুই পরে অ্যাসিসট্যান্ট সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশের সক্রিয়তায় গ্রেফতার করা হয়েছে দুই অভিযুক্তকে।
গত ১৩ জুনের ওই ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।জানা গিয়েছে, গ্রামে বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়েছিলেন সাহিল। সেখানে হঠাৎই হাজির হন তিন যুবক। অভিযোগ, তারা ওই মুসলিম যুবককে জোর করে বাইকে তুলে নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে মোবাইল চুরির অভিযোগ এনে তাঁকে একের পর এক প্রশ্ন করা হয়। যদিও সাহিল জানান, মোবাইল চুরির বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। উত্তর পছন্দ না হওয়ায় সাহিলকে গাছের সঙ্গে বেধে বেধড়ক মারধর করে তিন যুবক।এরপর যুবকের মাথা মুড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর তাঁকে “জয় শ্রী রাম” বলতে বাধ্য করে ওই তিনজন।
নির্মম অত্যাচারের সেই ভিডিও তিন দুষ্কৃতী সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে নেটিজেনদের একাংশকে ঘটনার তীব্র নিন্দা করতে দেখা যায়। দুষ্কৃতীদের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যান নিগৃহীত যুবক।কিন্তু সুরাহা দূরঅস্ত, উল্টে অভিযোগকারীকেই হেনস্তা করা হয়।
সাহিলের অভিযোগ, মোবাইল চুরির কেস দিয়ে তাঁকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। সাহিলের পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের ভয় দেখায়। অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিতে থাকে। এরপর ১৭ জুন অ্যাসিসট্যান্ট সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশের দ্বারস্থ হন পরিবারের লোকজন।প্রমাণ হিসেবে নিগ্রহের ভিডিও দাখিল করা হয। এরপরেই ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় দুই অভিযুক্তকে। তৃতীয় অভিযুক্তের সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি।