কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে দিনহাটায় অশান্তি পাকানোর চেষ্টা নিশীথের

0
1

মনোনয়ন শেষের পর এবার স্ক্রুটিনি পর্বে অশান্তির ছবি দেখা গেল কোচবিহারের দিনহাটায়(Dinhata)। এখানে সাহেবগঞ্জে বিডিও অফিসের সামনে চলল বোমাবাজি। রীতিমতো সংঘর্ষ হল তৃণমূল ও বিজেপির সমর্থকদের মধ্যে। ঘটনায় একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূল-বিজেপি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকতে দেখা যায় বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককেও(Nisith Pramanik)। তৃণমূলের(TMC) তরফে স্পষ্ট অভিযোগ তোলা হয়েছে, নিজের নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ে বিডিও অফিস দখল করে অশান্তি পাকাচ্ছেন খোদ নিশীথ।

শনিবার সকাল থেকে দিনহাটার (Dinhata) সাহেবগঞ্জ বিডিও অফিসের সামনে চাপা উত্তেজনা ছিল। স্ক্রুটিনি ঘিরে সেখানে তৃণমূল (TMC) সমর্থকরা বাড়তি জমায়েত করছিল বলে অভিযোগ করে বিজেপি। এই ইস্যুতেই তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে সাহেবগঞ্জে বাড়তি পুলিশ, কমব্যাট ফোর্স মোতায়েন করা হয়। এরই মাঝে ঘটনাস্থলে প্রবেশ করেন নিশীথ প্রামাণিক। ওই এলাকায় ঢুকেই তিনি অভিযোগ করেন তাঁর গাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। এরপরই ওই এলাকায় ঢোকার চেষ্টা করে বিএসএফ। যদিও স্থানীয় পুলিশ আটকে দেয় বিএসএফের গাড়ি। এবং জানিয়ে দেওয়া হয়, এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্ব পুলিশের, বিএসএফের নয়।

জানা যাচ্ছে, দিনহাটা ২ পঞ্চায়েত এলাকায় গ্রাম পঞ্চায়েতের সংখ্যা ১২টি। তার মধ্যে দুটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে তৃণমূল। বিজেপি গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির অনেক আসনেই প্রার্থী দিতে পারেনি। তৃণমূলের অভিযোগ, সেই কারণেই স্ক্রুটিনি পর্বে পরিকল্পিতভাবে ঝামেলা বাঁধাচ্ছে গেরুয়া শিবির। তবে নিশীথের অভিযোগ, পুলিশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। বিজেপি কর্মী, প্রার্থীদের উপর অকারণ অত্যাচার করছে। গোটা সাহেবগঞ্জেই এ নিয়ে উত্তেজনা চরমে। পাল্টা গোটা ঘটনায় বিজেপির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলে তৃণমূল নেতা পার্থপ্রতিম রায় জানান, “নিশীথ প্রামাণিক নিজের নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ে সাহেবগঞ্জের বিডিও অফিসটি দখল করেছেন। তাঁর নেতৃত্বেই বোমাবাজি হয়েছে। তাঁরা পঞ্চায়েতের সব স্তরে মনোনয়ন দিতে পারেনি। তাই বিষয়টি ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য এসব নাটক করছেন নিশীথ প্রামাণিক।” পাশাপাশি তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “ওখানকার লোকজনই তো বলছে কেন্দ্রীয় বাহিনী বিডিও অফিসের সামনে অতিসক্রিয়তা দেখিয়েছে। নিশীথ আবার আমাদের বিরুদ্ধে কী বলবেন? তাঁরই দলের নেতা তো গিয়ে রাজভবনে দেখা করছেন। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে কারা কী করছে।”