আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দল। কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশনের মনোনয়নের তালিকা দেখে মাথায় হাত অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Aravind Kejriwal) দলের। কমিশনের তালিকায় দেখা যাচ্ছে সেখানে ১৩ জন আপ প্রার্থীর নাম রয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই প্রার্থীরা কারা, তাদের খোঁজ শুরু করেছে দল। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission) চিঠি দিয়ে অভিযোগ জানাতে চলেছে আপ। পাশাপাশি অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে প্রতারণার অভিযোগে পুলিশের দ্বারস্থ হতে চলেছে আপের শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে আপের নামে গ্রাম পঞ্চায়েতে ৯টি এবং পঞ্চায়েত সমিতিতে ৪টি মনোনয়ন জমা পড়েছে। তবে জেলা পরিষদে কোনও মনোনয়ন (Nomination) জমা পড়েনি।

তবে তারা প্রার্থী না দিলেও কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল তা নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত আপ শিবির। বিষয়টিকে শৃঙ্খলাভঙ্গ হিসাবে দেখছে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। তবে বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত আপের কেন্দ্রীয় নেতা সঞ্জয় বসু জানিয়েছেন, ‘‘কারা কোথায় প্রার্থী দিয়েছে, আমরা দলের পক্ষ থেকে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করেছি। আগেই আমরা সর্বদল বৈঠকে জানিয়ে দিয়েছিলাম যে আপ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে না। তার পরেও কীভাবে আপের নামে কেউ মনোনয়ন জমা দিতে এলে তা গ্রহণ করা হয়েছে তা বুঝতে পারছি না। আমরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে বিষয়টা জানিয়েছি। আমরা চাই স্ক্রুটিনি পর্বেই মনোনয়নগুলি বাতিল করা হোক।

পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আপ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) তারা প্রার্থী দিতে চায় না। এই মর্মে গত ১৩ জুন সর্বদল বৈঠকে একটি চিঠিও কমিশনকে দেয় আপ। এরপর ১৫ জুন রাজ্য নির্বাচন কমিশন সব জেলার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আধিকারিকদের চিঠি দিয়ে বিষয়টা জানিয়ে দেয়। এর পরেও আপের নামে কী ভাবে মনোনয়ন জমা নেওয়া হল, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। পাশাপাশি আপের প্রার্থী হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় দলের শংসাপত্র কী ভাবে জোগাড় করা হয়েছে তা নিয়েও বেশ চিন্তায় দল।