ধর্মের কল…! নন্দীগ্রামের নির্দল প্রার্থীকে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ সেই প্রলয়ের হু.মকি ফোন ভাইরাল

0
1

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার তখন তুঙ্গে, রাজ্যজুড়ে তৃণমূলকে নিয়ে তখন একটা শ্রেণির গেল গেল রব। হাইভোল্টেজ নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রার্থী দলবদলু গদ্দার শুভেন্দু অধিকারী। ঠিক সেই সময় প্রথম দফায় সবচেয়ে চর্চিত বিষয় হয়ে উঠেছিল, বঙ্গ রাজনীতিতে প্রলয় কাণ্ড। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি অডিও ক্লিপ। আর তা হল বিজেপি নেতার সঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথোপকথন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ফোন করেছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের বিজেপি জেলা সহ–সভাপতি প্রলয় কে। দলের পুরোনো দিনের কর্মী প্রলয়কে তৃণমূলে কাজ করার অনুরোধ করেছিলেন তিনি। মাটিতে পা রেখে যেভাবে একটি দলের সুপ্রিমো হওয়ার সত্ত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুব আন্তরিকতার সঙ্গে নিজের দলের প্রাক্তন কর্মীকে ফোন করেছেন এবং সৌজন্য দেখিয়েছেন, সেই বিষয়টি আসলে গর্বের, এমনটাই দাবি করেছিল শাসক দল।

ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সেই প্রলয়ের ফের একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল। যেখানে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ এই দলবদলু বিজেপি নেতা, বিক্ষুব্ধ এক বিজেপি কর্মীকে হুমকি দিচ্ছেন, ওই কর্মীর অন্যায়, বিজেপির প্রতি অনাস্থা দেখিয়ে তিনি নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েন নন্দীগ্রাম-২ নম্বর ব্লকের ১৫৮ নম্বর বুথ থেকে দাঁড়িয়েছেন। আর তাতেই হারের ভয়ে ওই নির্দল প্রার্থীকে মধ্যরাতে ফোন করে হুমকি দিচ্ছেন সেই প্রলয় পাল। যিনি তমলুল সাংগঠনিক জেলায় বিজেপির সহ-সভাপতি। এবং ছাপার অযোগ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন নির্দল প্রার্থীকে।

সেই কথোপকথনের অডিও ক্লিপ এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। বিষয়টি সর্বপ্রথম সামনে আনেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি নন্দীগ্রাম তথা পূর্ব মেদিনীপুরে দলের তরফে বিশেষ দায়িত্বে রয়েছেন।

আরও পড়ুন- ফের নাম বদলের রাজনীতি! এবার নেহেরু মিউজিয়ামে নিজের নাম জুড়লেন মোদি

সোশ্যাল মিডিয়ায় কুণাল সেই অডিও ক্লিপ পোস্ট করে লেখেন, “নির্দলে নাজেহাল বিজেপি। আদি বনাম দলবদলু। আদি নির্দল প্রার্থীকে হুমকি দিচ্ছে প্রলয় পাল। ভাষা শুনুন। পুলিশ ব্যবস্থা নিক। বিধানসভার আগে এই প্রলয় পালকে করা মমতাদির সৌজন্যের ফোন বাজারে ছেড়েছিল বিজেপি।” অডিওর সত্যতা যাচাই করা যায়নি বলেও জানিয়েছেন কুণাল।

এই ঘটনা প্রমান করে এবার নন্দীগ্রাম সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করতে চাইছে শুভেন্দু ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা। ইতিমধ্যেই ভয় দেখানো, হুমকি শুরু হয়েছে। অবিলম্বে প্রলয়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।