বীরভূমে তৃণমূলের (TMC) প্রার্থী তালিকায় চমক। প্রার্থী হয়েছেন এদিকে প্রার্থী হয়েছেন শিবঠাকুর মণ্ডলের স্ত্রী লিপিকা মণ্ডল (Lipika Mandol), আরেক দিকে গতবার একমাত্র বিরোধী প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়া চিত্রলেখা রায় (Chitralekha Ray)।
ধৃত তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandol) বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা করে কয়েক মাস আগেই সংবাদ শিরোনামে এসেছিলেন শিবঠাকুর মণ্ডল। এবার সেই শিবঠাকুরের স্ত্রী লিপিকাকেই প্রার্থী করল শাসকদল। বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত সমিতির মনোনয়ন জমা দেন তিনি। গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় ইডি। তার পরই বীরভূমের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে দুবরাজপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান শিবঠাকুর। পরের দিনই অনুব্রতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই শিবঠাকুরের স্ত্রী লিপিকি এদিন বালিজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বনকাটি থেকে তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন জমা দেন। লিপিকা জানান, “দিদিকে ভালবাসি। দল উপযুক্ত মনে করেছে বলে সুযোগ দিয়েছে।“
আলোচনায় তৃণমূলের আরেক প্রার্থীও। তিনি চিত্রলেখা রায়। রাজনগর পঞ্চায়েত সমিতির একটি আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু কেন চর্চায় চিত্রলেখা? গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বীরভূমে বিরোধী-শূন্য জেলা পরিষদে একমাত্র কাঁটা ছিলেন তিনিই। পরে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন চিত্রলেখা। যোগ দেন তৃণমূলেই। জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, “দলের প্রতি নিষ্ঠা আর কাজ দেখেই ওঁকে প্রার্থী করা হয়েছে।“ আর চিত্রলেখার কথায়, “উন্নয়ন দেখে এই দলে এসেছিলাম। দলের নির্দেশ মেনে মানুষের জন্য কাজ করব।“
২০১৮-তে বিজেপির হয়ে মনোনয়ন জমা দিলেও পরে তা প্রত্যাহার করে নেন চিত্রলেখা। জয়ী হন তাঁরই বন্ধু রিয়াশ্রী। পরে দুজনে মিলেই ব্লকের মহিলা সংগঠনের কাজ সামলেছেন। এবার চিত্রলেখা প্রার্থী হলে, রিয়াশ্রীকে প্রার্থী করেনি তৃণমূল।