গরমের (Summer) ছুটি শেষ। বৃহস্পতিবার থেকেই খুলে গেল রাজ্যের সমস্ত স্কুল (School)। তীব্র গরমের হাত থেকে রেহাই পেতেই গরমের ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার যখন স্কুল খুলল তখনও গরমে রীতিমতো নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় পড়ুয়াদের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) গরমের হাঁসফাঁস অবস্থা থেকে পড়ুয়াদের মুক্তি দিতে গরমের ছুটি বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু ছুটির পর এদিন স্কুল খুললেও কার্যত গলদঘর্ম অবস্থা পড়ুয়াদের। এদিন গরমকে উপেক্ষা করেও কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি ছিল চোখ পড়ার মতো। এদিন সকালে পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে স্কুলগুলির সামনে ঘামে চপচপে পড়ুয়াদের ছবি চোখে পড়ল।
এদিকে বৃহস্পতিবার তীব্র গরমকে উপেক্ষা করেই ৫০ শতাংশের বেশি পড়ুয়াদের উপস্থিতি ছিল স্কুলগুলিতে। তবে যেহেতু এখনও যথেষ্ট তাপমাত্রা রয়েছে, সেকারণে বহু স্কুলে বাড়তি পাখা লাগানোর বন্দোবস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত জলেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে স্কুলগুলিতে। ৪৫ দিন গরমের ছুটির পর বৃহস্পতিবার থেকে খুলেছে রাজ্যের সমস্ত স্কুল খুলে। তবে গরমের দাপট এখনও কাটেনি। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে আদ্রতাজনিত অস্বস্তি। চলতি বছর ২ মে থেকে রাজ্যের সরকারি এবং সরকারি সাহাজ্যপ্রাপ্ত স্কুলে গরমের ছুটি পড়ে। প্রথমে রাজ্যের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল, ৫ জুন থেকে মাধ্যমিক (Madhyamik) ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুল (Higher Secondary) এবং ৭ জুন থেকে প্রাথমিক স্কুল খুলবে। কিন্তু সেই ঘোষণার পর গরমের কথা মাথায় রেখেই ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হয়। ১৪ জুন পর্যন্ত রাজ্যের স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি চলবে বলে ঘোষণা করা হয়। সেইমতো ১৫ জুন থেকে রাজ্যের খুলে গেল রাজ্যের প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্কুলগুলি।
তবে এদিন স্কুল খুললেও এই তীব্র গরমে কীভাবে পঠনপাঠন সম্ভব তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। তীব্র গরমে পড়ুয়াদের শারীরিক অবস্থা বেগতিক হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। অন্যদিকে, চিকিৎসকরাও খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না বেরনোর পরামর্শ দিচ্ছেন। আর সেই আবহে যদি বর্ষা না আসে সেই পরিস্থিতিতে স্কুলে গরমের ছুটির মেয়াদ বাড়তে পারে বলেই মত শিক্ষা মহলের।