গোটা রাজ্যের সঙ্গে পূর্ব বর্ধমানেও চলছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের শেষ পর্যায়ের মনোনয়ন পর্ব। এবার মনোনয়ন পেশ করতে যাওয়ার সময় সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযোগ উঠল সিপিএমের বিরুদ্ধে।এমনকী, মনোনয়ন পেশ করতে সংশ্লিষ্ট ব্লক অফিসে কোথাও ডাণ্ডা, কোথাও লাঠি, কোথাও আবার তির-ধনুক নিয়ে হাজির প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকরা।
কেতুগ্রাম ১নং ব্লকে মনোনয়ন দিতে যাওয়ার সময় পুলিশ সিপিএম সমর্থকদের কাছ থেকে ৫০টি ডাণ্ডা বাজেয়াপ্ত করেছে। লাঠি ও তির-ধনুক নিয়ে আউশগ্রাম ১নং ব্লক অফিসে মনোনয়ন পেশ করতে গেলে পুলিশ অফিসের অনেক আগেই ‘অস্ত্রধারীদের’ আটকে দেয়। সিপিএমের প্রার্থীর দাবি, পতাকা বাধার লাঠিগুলি আসলে ‘প্রতিরোধ’-এর জন্য। এ নিয়ে তৃণমূলের পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ভোটে হার নিশ্চিত জেনেই সিপিএম এখন অশান্তি পাকিয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বিঘ্নিত করতে চাইছে। মানুষ সব দেখছেন।
এই আবহেই কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের আবেদন, যদি কোনও বিরোধী প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে বাধা পান, খবর পেলেই, আমরা দাঁড়িয়ে থেকে তাদের মনোনয়ন জমা দিতে সাহায্য করছি। আরও এক ধাপ এগিয়ে তাঁর ঘোষণা, আমাদের কোনও নেতা-কর্মী বিরোধীদের মনোনয়ন দিতে বাধা দিয়েছে প্রমাণিত হলে তাঁকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রার্থী না পেয়ে বিরোধীরা মনোনয়নে বাধা দেওয়ার গল্প ফাঁদছে বলেও অভিযোগ করেন রবীন্দ্রনাথবাবু। তিনি জানান, আমরা চাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল যোগ দিক। প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন দক্ষতার সঙ্গে তা শেষ করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে।
এটা যে শুধু কথার কথাই নয়, তার প্রমাণও মিলল হাতেনাতে। কেতুগ্রাম ১নং ব্লক অফিসে গিয়ে দেখা গেল সিপিএম ও বিজেপি প্রার্থীরা বিনা বাধায় মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন। বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা ও পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী ফারুখ মির্জার হাতে হাত মেলাচ্ছেন তৃণমূল নেতা তরুণ মুখোপাধ্যায়। তৃণমূলের এই সৌজন্যের রাজনীতিকে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি, সিপিএম-সহ বিরোধী দলগুলি।