চোপড়ার (Chopra) পর এবার ভাঙড় (Bhangar)। মনোনয়নপত্র (Nomination) জমা দেওয়ার শেষদিনে মুহুর্মুহু গুলি-বোমা চলল ভাঙড়ে। এদিকে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মৃত্যু হল এক আইএসএফ (ISF) কর্মীর। জানা গিয়েছে নিহত আইএসএফ কর্মীর নাম মহিউদ্দিন মোল্লা। কাশীপুর জয়পুরের বাসিন্দা তিনি। এদিন মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে আসার সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হন বলে খবর। ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি জানান, দলের বহু কর্মী আক্রান্ত। একজন কর্মী নিহত হয়েছেন।
আইএসএফ-র অভিযোগ এদিন মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে বেরিয়ে আসার পরই গুলিবিদ্ধ হন মহিউদ্দিন। ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের বিজয়গঞ্জ বাজারের ঘটনা। আর এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। চলে ব্যাপক গুলি ও বোমাবাজি। গুলিবিদ্ধ হয়েছে আরও কয়েকজন। তাঁদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় আর জি কর হাসপাতালে (R G Kar Hospital) ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে ভাঙড়ে মনোনয়ন জমা দিতে নিয়ে যাচ্ছিলেন ৮২ জন বিরোধী প্রার্থী। স্থানীয় সূত্রে খবর, ভাঙড়ের সোনপুর বাজারের কাছে তাঁদের উপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলিতে মৃত্যু হয় এক আইএসএফ কর্মীর। এদিকে আইএসএফের অভিযোগ, এদিন পুলিশ এসকর্ট করে নিয়ে যাচ্ছিল মনোনয়ন জমা দিতে। তখনই দুষ্কৃতীরা বিরোধী প্রার্থীদের উপর হামলা চালায়। একের পর এক গুলি ও বোমা ছুঁড়তে থাকে দুষ্কৃতীরা। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারপাশ। তৃণমূলের অভিযোগ, ইচ্ছে করেই নির্বাচনের আগে ভাঙড়ে অশান্তির চেষ্টা করছে আইএসএফ।
তবে এদিন হামলা চলাকালীন আশেপাশের বেশকিছু দোকানে ভাঙচুরও চালায় দুষ্কৃতীরা। ভেঙে দেওয়া হয় একাধিক গাড়ি। বাদ যায়নি পুলিশের গাড়িও। এরপরই আইএসএফ কর্মীরা ভাঙড়ে অবাধে লুঠপাট ও দাপাদাপি চালায় বলে অভিযোগ। এরপরই কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। অবস্থা সামাল দিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে। মনোনয়নের শেষপর্বে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। দুপুরের পর আদালতের নির্দেশে বিরোধীদের মনোনয়ন ঘিরে যে অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাতে প্রাণ গেল এক আইএসএফ কর্মীর। সংঘর্ষ চলাকালীন সংবাদমাধ্যমের কর্মীরাও আক্রান্ত হন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উন্মত্ত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটাতে বাধ্য হয় পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কমব্যাট ফোর্সও নামানো হয়।