পঞ্চায়েত প্রার্থীদের এসকর্ট করে দ্রুত মনোনয়ন করানোর ব্যবস্থা করুন, কলকাতা পুলিশকে নির্দেশ হাইকোর্টের

0
3

কলকাতা পুলিশকে এসকর্ট দিয়ে হাইকোর্টে হাজির থাকা বিরোধী প্রার্থীদের এখনই মনোনয়ন জমার জন্য গন্তব্যে পাঠানোর নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। ‘হাইকোর্টে আসা বিভিন্ন এলাকার বিরোধী প্রার্থীদের বসিরহাট, ক্যানিং, ভাঙড়, কাশীপুর পৌঁছতে কলকাতা পুলিশকে এসকর্ট দিতে হবে’।

রাজ্যের একাধিক ব্লক ও মহকুমা থেকে বিরোধী দলের প্রার্থীরা বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। আদালতের কাছে তাঁদের অভিযোগ, কোনও ভাবেই তাঁরা মনোনয়ন জমা দিতে পারছেন না। কোথাও বোমাবাজি হচ্ছে, কোথাও পুলিশি নিরাপত্তা ও শাসক দলের হুমকি কারণে বিডিও অফিসের চৌহদ্দিতে ঢোকা যাচ্ছে না। এরপরই বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, যাঁরা মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে বাধা পাচ্ছেন, তাঁদের এসকর্ট করে নিয়ে গিয়ে মনোনয়ন করাতে হবে কলকাতা পুলিশকে।
প্রথম দিন তো বটেই, মনোনয়ন পর্বের শেষ দিনেও মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। এবার বিরোধীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্বভার গেল কলকাতা পুলিশের ওপরেই। এ দিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, ‘তারা যাতে সময়ের মধ্যে পৌঁছতে পারেন মনোনয়নস্থলে, তাই এই ব্যবস্থা রাজ্যকে করতে হবে। এখনই হাইকোর্টে উপস্থিত সব প্রার্থীকে হেয়ার স্ট্রিট থানায় পৌঁছতে হবে। বাকি প্রার্থীরা এলাকার থানা বা কোথাও এসপি অফিসে এখনই হাজির হবেন, তাদের পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে নিয়ে যাবে’।

বিচারপতি মান্থা স্পষ্ট বলেন, ‘পুলিশের জন্য আপনাদের উদ্বেগকে বাহবা দিয়েও বলছি সংবিধান রক্ষার স্বার্থে কলকাতা পুলিশ এসকর্ট করে তাঁদের গন্তব্য পর্যন্ত পৌঁছে দেবে, এটা জরুরি’। এদিন তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল সকাল ৯ টা থেকে আজ সন্ধে ৭ টা পর্যন্ত যেখানে ভোটের মনোনয়ন জমা নিয়ে গোলমাল হয়েছে, সেই সব থানার ওই সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে’।

মনোনয়ন পেশ ইস্যুতে বিচারপতি মান্থা বলেন, ‘যে কোনওভাবে মনোনয়ন জমার ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্যকে,  পুলিশকে পদক্ষেপ করতে বলুন। সব পক্ষকে নির্দেশ, মিনাখাঁ-ক্যানিং যেখানেই এই সমস্যা সেখানে আগে থানাকে পদক্ষেপ করতে এখনই বলুন’।

যদিও পাল্টা রাজ্য জানিয়েছে, ‘মিনাখাঁয় সিপিএমের ৪ জন নেতাকে ডেকে মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার জন্য পুলিশ ডাকাডাকি করে, কিন্তু তারা যাননি’।