ফের ২৭ জুন পর্যন্ত পার্থসহ সাতজনের জে*ল হে*ফাজত

0
1

ফের খারিজ হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন। একইসঙ্গে আরও সাত জনের জামিনের আবেদন মঙ্গলবার খারিজ হয়ে যায়। ২৭ জুন পর্যন্ত তাঁদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত ।

একইসঙ্গে এদিন, বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের করা মন্তব্যের জন্য, তীব্র ভর্ৎসনা করলেন বিচারক। তিনি বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যা বলেছেন তা বরদাস্ত করা যায় না। তা আদালতের পক্ষে অপমানজনক। এরপরই, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হয়ে আদালতে ক্ষমা চান তাঁর আইনজীবী।
এদিন এজলাস থেকে বেরোনোর সময় পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমি কোনও দিন আদালতকে অপমান করিনি, করবও না।
গত মাসের শেষ দিকে আদালতে কার্যত বিধ্বস্ত অবস্থায় দেখা গিয়েছিল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী  পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তিনি মারা গেলে তবেই কি বিচার পাবেন, বিচারকের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিলেন তিনি। আদালতে সওয়াল করতে গিয়ে গলাও ধরে আসে পার্থের। এর আগে, গত ৩০ মে আলিপুর আদালতে তোলা হয়েছিল পার্থকে। সেখানেই বিচারকের সামনে কাতর আর্তি শোনা গিয়েছিল তাঁর গলায়।
সে দিন আদালতে পার্থর স্বাস্থ্যের দোহাই দিয়ে মেডিকেল টেস্টের কথা বলেন তাঁর আইনজীবী। সেই সময়ই হাতজোড় করে কথা বলতে চান বলে আর্জি জানান পার্থ। অনুমতি পেয়ে তিনি বলেন, জেল সুপার একটি হাসপাতালে লিখে দিয়েছেন। কিন্তু হাসপাতাল ১০ দিন পর রিপোর্ট ব্যাক করছে।
বিচারক সেদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তার জন্য লিখিত আবেদন করতে হবে। তাতে ধরা গলায় পার্থ বলেন, মরে গেলে আর কী বিচার হবে? ৩০০ দিনের বেশি জেলে আছি আমি। এর পর পার্থর আইনজীবী জানান, তাঁরা জামিনের আবেদন করছেন না। কিন্তু জেলের ভিতরে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক।তার ঠিক আগের দিনই, পার্থের বিরুদ্ধে সরব হন তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবী। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অর্পিতার পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে, তাঁর আইনজীবী জানান, পুরোটাই পার্থ নিয়ন্ত্রণ করতেন। অর্পিতার বাড়ি থেকে যে ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে, সে টাকাও পার্থর বলে জানান তিনি। আদালতে ঢোকার সময় সেই নিয়ে প্রশ্নও করা হয়েছিল পার্থকে। তিনি যদিও একটি কথাও বলেন নি।