শক্তি বাড়িয়ে প্রবল শক্তিশালী পরিণত হতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। ইতিমধ্যেই আরব সাগরের বুকে দানা বাঁধছে। এর জেরে উপকূলীয় এলাকাগুলিতে শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টি।মৌসম ভবন ইতিমধ্যেই গুজরাটের সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছ উপকূলে সতর্কতা জারি করেছে। ভারতের পশ্চিমের অন্য রাজ্যগুলিকেও সতর্ক করা হয়েছে। জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা।মৌসম ভবনের সতর্কতা জারির পরই এ নিয়ে তড়িঘড়ি বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আরও পড়ুন:ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আগেই মুম্বই বিমানবন্দরে বড় বিপর্যয় ! বাতিল বহু বিমান
কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় মোকাবিলা নিয়ে জরুরি বৈঠকের ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ দুপুর একটায় তিনি বৈঠকে বসবেন। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন মৌসম ভবনের আধিকারিক, গুজরাট প্রশাসনের শীর্ষ কর্তা, এনডিআরএফ, এসডিআরএফের কর্তারা। গুজরাটেই ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের ল্যান্ডফল হওয়ার সম্ভাবনা থাকায়, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় কী কী প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, তা খতিয়ে দেখবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, বুধবার পর্যন্ত সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছ উপকূল বরাবর সমুদ্র প্রবল উত্তাল থাকবে। বৃহস্পতিবার আরও বাড়বে দাপট। বিশাল উঁচু উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়বে। বৃহস্পতিবারই ‘বিপর্যয়’-এর ল্যান্ডফল হওয়ার কথা গুজরাত ও পাকিস্তানের মধ্যবর্তী মাণ্ডবী এলাকায়। এর ফলে গুজরাটের কচ্ছ ও পাকিস্তানের করাচিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গুজরাট,কেরালা, কর্নাটক ও লাক্ষাদ্বীপের মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। ১৪ জুন পর্যন্ত পর্যটকদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গুজরাতের সৈকত। গুজরাটের কচ্ছ, জামনগর, মোরবি, গির সোমনাথ, পোরবন্দর ও দ্বারকা জেলাতে প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। পাকিস্তান সরকারও সিন্ধু ও বেলুচিস্তানের কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে।