কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিং-এর বিরুদ্ধে যৌ.ন হেনস্থার অভিযোগ আনেন দেশের কুস্তিগির বজরং পুনিয়া, বিনেশ ফোগাট, সাক্ষী মালিকরা। দীর্ঘদিনের লড়াইয়ের পর সেই অভিযোগের তদন্তে নেমেছে দিল্লি পুলিশ। আর সেই তদন্তের উঠে এল নয়া মোড়। অভিযোগকারী মহিলা কুস্তিগিরদের কাছে যৌ.ন হেনস্থার প্রমাণ চাইল দিল্লি পুলিশ। ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে অভিযোগ মহিলা কুস্তিগিরদের বুকে, গায়ে, ইচ্ছাকৃতভাবে হাত দিতেন ব্রিজভূষণ। সেই অভিযোগের প্রমাণ হিসাবে অভিযোগকারীদের কাছে ছবি, ভিডিও, অডিও জমা দিতে বলল দিল্লি পুলিশ।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে দিল্লি পুলিশ প্রথমে কুস্তিগিরদের অভিযোগের ভিত্তিতে দুটি এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করে। যার মধ্যে একটি ছিল পকসো আইনের অধীনে। যদিও এক অভিযোগকারী নাবালিকা কুস্তিগিরের বাবা পকসো আইনের অধীনে দায়ের করা অভিযোগ তুলে নেন। আর অন্যদিকে আরও ৬ জন মহিলা কুস্তিগির একটি অভিযোগ দায়ের করেন ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগেরই তদন্ত এখন করছে দিল্লি পুলিশ।
এদিকে এখনই প্রতিবাদের পথ থেকে সরতে নারাজ আন্দোলনকারী কুস্তিগিরেরা। ব্রিজভূষণের গ্রেফতারির দাবি থেকে সরছেন না বজরং-সাক্ষী-বিনেশরা। ১৫ জুনের মধ্যে অভিযুক্ত ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আবার পথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারী কুস্তিগিররা। তাঁদের অভিযোগ, অভিযোগকারীদের উপর বিভিন্ন মহল থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। সাক্ষীদের অভিযোগ চাপের মুখেই অভিযোগের বয়ান বদল করতে বাধ্য হয়েছেন নাবালিকা কু্স্তিগিরের বাবা।
এই নিয়ে সাক্ষী বলেন, “আর কী প্রমাণ চাই। নথিভুক্ত বয়ান হঠাৎ কীভাবে পরিবর্তন হল, বুঝতে পারছি না আমরা। পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে নাবালিকা কুস্তিগিরের বাবাকে চাপ দেওয়া হয়েছে। অসম্ভব চাপ দেওয়া হচ্ছে। জানি না এভাবে আমরা কত দূর লড়াই করতে পারব।” বজরং বলেন, “ঠিক কী ঘটেছিল, তা ওই কুস্তিগিরের পরিবারই বলতে পারবে। সে নাবালিকা না কি সাবালিকা, তা-ও তাঁরা জানেন। তবে অনেক ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে আমাদের আন্দোলনকে দুর্বল করার জন্য। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ক্রীড়ামন্ত্রী আমাদের যথাযথ তদন্ত এবং ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা ১৫ জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করব। না হলে আবার পথে নামব। আন্দোলনের জন্য কুস্তিগিরেরা কেউ সরকারি কাজে ফাঁকি দিচ্ছে না।”
আরও পড়ুন:WTC ফাইনালে আজ জয়ের লক্ষ্যে ভারত, ক্রিজে বিরাট-রাহানে, লক্ষ্য ২৮০ রান