করমণ্ডল দুর্ঘটনার পর কেটে গিয়েছে ন’দিন। কীভাবে দুর্ঘটনা তার কারণ এখনও সামনে অসেনি। সেইনিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্নেষণ। এদিকে তার থেকেও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে অশনাক্ত কিছু দেহ নিয়ে।দুরর্ঘটনার পর থেকে এখনও ভুবনেশ্বর মর্গে রয়ে গেছে অশনাক্ত বেশ কিছু দেহ। দেহগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। সময় যত গড়াচ্ছে, ততই দেহগুলিকে শনাক্তকরণ বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে। দেহগুলি চিহ্নিতকরণের জন্য সম্প্রতি প্রতিবেশী রাজ্যগুলির সঙ্গেও আলোচনা করেছে ওড়িশা সরকার। তবুও এখনও মৃতদেহগুলি শনাক্ত করা ও তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি।এমন পরিস্থিতিতে ওড়িশা সরকারকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক।

আরও পড়ুন:খড়গপুর স্টেশনের কাছে লাইনচ্যুত মেদিনীপুর-হাওড়া লোকাল, ধাক্কা বিদ্যুতের খুঁটিতে
করমণ্ডল দুর্ঘটনার অভিঘাত এতটাই ভয়ঙ্কর ছিল যে অনেক মৃতদেহকে চেনার উপায় নেই। কারও মুখ ক্ষতবিক্ষত। কারও বা হাত নেই। কারও আবার পা।এছাড়াও এমন অবস্থায় দেহ রয়েছে যেগুলির হাতের চামড়া নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ফলে আঙুলের ছাপ নেওয়া সম্ভব হয়নি। সে ক্ষেত্রে ‘সিম কার্ড ট্রায়াঙ্গুলেশন’ পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। এই পদ্ধতিকে রেলের ‘সঞ্চার সাথী’ পদ্ধতির সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
দিনের পর দিন মৃতদেহগুলির ছাপ না নেওয়ায় চামড়া নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এমন অবস্থায় অধার কার্ডের মাধ্যমেও তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি দুর্ঘটনার আগে যেসকল যাত্রীদের ফোনগুলি সক্রিয় ছিল এবং দুর্ঘটনার পরে যেগুলি নিষ্ক্রিয় বা বন্ধ হয়ে যায়, সেগুলি চিহ্নিত করবে ‘সিম কার্ড ট্রায়াঙ্গুলেশন’ পদ্ধতি। আর তার পর সংশ্লিষ্ট যাত্রীর মোবাইল কানেকশনের মাধ্যমে দেহ চিহ্নিতকরণের কাজ করা হবে।


‘সঞ্চার সাথী’ পদ্ধতিতে হাতের আঙ্গুলের যে ছাপ নেওয়া হয়েছে, আধারের মাধ্যমে সেই সব দেহগুলিও চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে। এখনও পর্যন্ত মোট ৪৪টি দেহ শনাক্ত করা গিয়েছে। মৃত ব্যক্তিদের ঠিকানা এবং পরিবারের ফোন নম্বরও উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।







































































































































