ধর্মকে হা.তিয়ার করে রাজনীতি করলে পতন অবধারিত: ঠাকুরবাড়িতে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্র.মণ অভিষেকের

0
2

ঠাকুরবাড়ির গরিমা কলুষিত করছেন শান্তনু ঠাকুর। রবিবার, ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে গিয়ে তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তাঁকে আটকাতে সকাল থেকে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করেছেন BJP সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। এই ঘৃণ্য রাজনীতির তীব্র নিন্দা করেন অভিষেক। তিনি বলেন, এটা ঠাকুরবাড়ি, রাজনীতি করার জায়গা নয়। তীব্র আক্রমণ করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, যাঁরা ধর্মকে হাতিয়ার করে রাজনীতি করছে তাদের পতন অবধারিত।

রবিবার সকাল থেকেই ঠাকুরনগরে গোলমাল বাধানোর চেষ্টা করছেন বিজেপির সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। সাড়ে তিনটের পর ঠাকুরবাড়িতে পৌঁছন অভিষেক। সেখানে গিয়ে প্রথমে মন্দিরে পুজো দেন অভিষেক। তারপরে যান বড়মা বীণাপানি দেবীর ঘরে। তাঁর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সেখান থেকে বেরিয়ে ঠাকুরবাড়িতে দাঁড়িয়েই শান্তনু ঠাকুরকে তুলোধনা করেন অভিষেক। তাঁর কথায়, ঠাকুরবাড়ি রাজনীতি করার জায়গা নয়। এই জায়গার গরিমা কলুষিত করছেন বিজেপির সাংসদ।

অভিষেক বলেন, “ঠাকুরবাড়িতে এসে পুজো দিয়েছি। হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের পূণ্যভূমিতে এসে আগামী দিনে লড়াইয়ের শক্তি নিলাম। আমার কর্মসূচি রয়েছে হাবড়াতে। আমি এখানে পুজো দিতে এসেছি। কিন্তু সকাল থেকে মন্দির ঘিরে রয়েছে বিজেপির লোকজন। ওদের ২০০-২৫০ লোক রয়েছে। আমাদের পাঁচ হাজার। চাইলেই আমি গায়ের জোরে ঢুকতে পারি। কিন্তু ঠাকুরবাড়ি গায়ের জোর দেখানোর জায়গা নয়। এই মন্দির, এই মতুয়া ধাম কারও পৈত্রিক সম্পত্তি নয়। এর দ্বার সকলের জন্য খোলা।“

ধর্মের নাম বিজেপির রাজনীতি করা নিয়েও তোপ দাগেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। বলেন, যাঁরা ধর্মকে হাতিয়ার করে রাজনীতি করছে তাদের পতন অবধারিত। তৃণমূল সাংসদের কথায় “ধর্ম ছেড়ে মানুষের স্বার্থে লড়াই করুন”। চিনি প্রশ্ন তোলেন, “শান্তনু ঠাকুর কোনও দিন মানুষের দাবিদাওয়া নিয়ে সরব হয়েছেন?” বিজেপি সাংসদকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে অভিষেক বলেন, ”এখানে কোথায় রাস্তাঘাট, জল-কলের কাজ বাকি আছে, সামনে এসে বলুন। যে রাস্তাঘাট দিয়ে হেঁটে তৃণমূলকে চমকাচ্ছেন, সেটাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করে দিয়েছেন।” বেরনোর আগে শান্তনুকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে অভিষেক বলেন, ”তিনমাস অন্তর আসব। পারলে আটকাবেন।”

অভিষেক যখন মাইক হাতে সরব, তখন অবশ্য বিজেপির নেতা-কর্মীরা চত্বর ছেড়ে পালিয়েছেন। উপস্থিত মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ তখন মমতা, বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee), অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে জয়ধ্বনি দিচ্ছেন। আওয়াজ উঠেছে ‘জয় বাংলা’।